সিলেট ২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর প্রকোপ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ। মেশিনারিজ আমদানি খাত থেকে ১০০ কোটি টাকা এবং আকস্মিক দুর্যোগ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আপৎকালীন তহবিল হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে এ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
এর আগে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণে ২০০ কোটি টাকা চেয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ এ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এর আগে ৫০ কোটি টাকা অর্থ ছাড় করে অর্থ বিভাগ। যদিও তখন স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে ১০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা ভাইরাস চিকিৎসা কিংবা নিয়ন্ত্রণে যত টাকা প্রয়োজন হবে তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চীনের মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়, তাতেও অর্থায়ন করা হবে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। সেই টাকা বাংলাদেশ পাবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফ টাকা দিলে আমরাও পাব। অন্যরাও দেবে। কোনো আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেলে অবহিত করা হবে।
অর্থ বিভাগে পাঠানো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জেলা/উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে এবং রোগীদের সারিয়ে তুলতে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখতে হয়।
এ জন্য ঢাকাসহ বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরের হাসপতালগুলোয়ও সিসিইউ, আইসিইউ, আইসোলেশন ওয়ার্ড, সহায়ক স্বাস্থ্যসেবা, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য কিট এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলা, জেনারেল, বিশেষায়িত হাসপাতালসহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোয় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করে সরকার।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই রোগ যেন কোনো অবস্থায়ই ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য আক্রান্ত কিংবা লক্ষণ দেখা গেলেই স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতি জেলায় সিভিল সার্জন অফিসগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এই ভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও জেলা সিভিল সার্জনের পাশাপাশি জেলা পরিষদ/উপজেলা পরিষদ নিয়ে যে কমিটি করা হয়েছে সেগুলোকে করোনা পরিস্থিতিতে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ মনে করে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত পৃথক করে কোয়ারেন্টিনে নিতে পারলে এই রোগের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব। তবে লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীকে স্বেচ্ছায় হাসপাতাল কিংবা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে করোনার বিস্তার ঠেকানো অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।