সিলেট ১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০
প্রতিনিধি/ছাতকঃঃ
ছাতকে হুছুট খেয়ে আহত হওয়া নারীকে ইনজুরী দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য এ কৌশল নেয়া হয়েছে বলে এলাকার লোকজন মনে করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়নের বড়বাড়ী গ্রামের গোলাম আহমদের পুত্র কয়েছ মিয়া ও গোলাম নবীর পুত্র মাসুক মিয়ার মধ্যে ভুমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সুনামগঞ্জ যুগ্ম জজ আদালতে মামলা(নং-৪৫/১৫) বিচারাধিন রয়েছে। গত ১৭ মার্চ বিরোধকৃত ভুমিতে মাটি কাটছিল কয়েছ মিয়া ও তার লোকজন। এসময় প্রতিপক্ষ মাসুক মিয়া মাটি কাটতে বাঁধা দিলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে আশপাশের লোকজন এসে তাৎক্ষনিক মধ্যস্থতা করে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে বল কাড়াকাড়ি নিয়ে দু’শিশুর ঝগড়া থামাতে আসেন মাসুক মিয়ার স্ত্রী শরীফা আক্তার। তিনি দৌড়ে আসার সময় অপেক্ষাকৃত উচুঁস্থান থেকে হুছুট খেয়ে নিচে বাঁশতলায় পড়ে তার একটি পা মচকে গিয়ে তিনি আহত হন। এ ঘটনাকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ১৯ মার্চ মাসুক মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা(নং-৮২/২০) দায়ের করা হয়েছে বলে আশপাশের লোকজন জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামের ইসলাম আলীর স্ত্রী রোজিনা বেগম, তমিজ আলীর পুত্র রেখন আলী জানান, শিশুদের ঝগড়া থামাতে এসে হুছুট খেয়ে পড়ে শরীফা আক্তার আহত হন। তারা শুনেছেন শরীফা আক্তারকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড়বাড়ী গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস সহিদ, গ্রামের আলাউদ্দিন, আব্দুস শহীদ, সুরুজ মিয়া ছালিক মিয়া, নুরুল ইসলাম, ফরহাদ মিয়া, আব্দুল্লাহসহ লোকজন জানান, তাদের মধ্য জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
ঘটনার সময় হুছুট খেয়ে ওই মহিলার পা ভেঙ্গেছে বলে তারা শুনেছেন। মাসুক মিয়া পক্ষের আশিক মিয়ার স্ত্রী হাফছা বেগম জানান, প্রতিপক্ষের লোকজনের মধ্যে কোন একজন লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার পা ভেঙ্গে দিয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে তিনি শুনেছেন মামলায় যে নারীকে আহত দেখানো হয়েছে তিনি হুছুট খেয়ে আহত হয়েছে।