বাংলাদেশ ইউক্রেন নয়

প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

বাংলাদেশ ইউক্রেন নয়

মূলত এরমাধ্যমে পম্পেও বোঝেতে চেয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করা ওই সাংবাদিক নিজেই ইউক্রেন চেনেন না

যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সাংবাদিক মেরি লুইস কেলি মানচিত্রে ইউক্রেনকে চিহ্নিত করতে পারেননি, এর বদলে তিনি বাংলাদেশকে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

মার্কিন গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর “অল থিংস কনসিডারড” অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মেরি লুইজ কেলিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন পম্পেও। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ইউক্রেনকে মার্কিন সমর্থন এবং ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেরি ইয়োভানোভিচকে প্রত্যাহারের প্রশ্ন করতেই ক্ষেপে যান পম্পেও। এরপরই উভয়েই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।

এই দুটি ইস্যু নিয়েইপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন মুখোমুখি হতে হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ইউক্রেন সফরেও যাচ্ছেন পম্পেও।

তবে ইউক্রেনের বদলে বাংলাদেশকে দেখানো দাবি প্রত্যাখ্যান করে মেরি লুইস কেলি জানান, সাক্ষাৎকার শেষে পম্পেও তাকে দপ্তরের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে পাঠান পম্পেও। এ সময় ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করায় তার ওপর চিৎকার চেঁচামেচি এবং গালাগাল করেন তিনি। একপর্যায়ে দেশের নামবিহীন একটি মানচিত্র এনে তাকে ইউক্রেন চিহ্নিত করতে বলেন। কেলি মানচিত্রে ইউক্রেনকে চিহ্নিত করেন। এ সময় কেলি পম্পেওকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানান এবং তার দপ্তর থেকে ফিরে আসেন।

কিন্তু পরদিনই এক বিবৃতিতে পম্পেও অভিযোগ করেন, কেলি সাংবাদিকতার মূলনীতি লঙ্ঘন করেছেন এবং সততার অভাব রয়েছে। কেলি দু’বার তার কাছে মিথ্যাও বলেছেন।

সবশেষে বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ ইউক্রেন নয়”। মূলত এরমাধ্যমে পম্পেও বোঝেতে চেয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করা ওই সাংবাদিক নিজেই ইউক্রেন চেনেন না। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন মিডিয়ায় তুলকালাম চলছে।

প্রসঙ্গত, মেরি লুইস কেলি রাশিয়া, ইরাক ও উত্তর কোরিয়ায় বিবিসি ও সিএনএন-এর হয়ে সাংবাদিকতা করেছেন। কেমব্রিজের ডিগ্রিধারী এই নারী মানচিত্রে ইউক্রেনকে চিহ্নিত করতে পারেননি, পম্পেও-এর এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই।

Spread the love