সিলেট ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২০
প্রতিনিধি/ওসমানীনগরঃঃ
ওসমানীনগরের ব্যবসায়ীক প্রাণ কেন্দ্র গোয়ালাবাজারে নিত্যপণ্য ছাড়া সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে দেশের সর্বত্র শপিং মল, মার্কেটসহ সকল প্রকার বিপণিবিতান খোলা রাখার সরকারি অনুমতি থাকলেও করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আজ রবিবার দুপুরে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত বৈঠক উপস্থিত ছিলেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রব গেদা মিয়া, বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহমদ,বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল কান্তি দেব,বাজার পরিচালনা কমিটির সহ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন চৌধুরী, বণিক সমিতির নেতা ফয়জুল হক, আমির খান, ব্যবসায়ী বশির আহমদ, কবির মিয়া, ইউপি সদস্য আব্দুল সামাদ, বেলাল আহমদ, জামাল মেম্বার ব্যবসায়ী আব্দুল মুকিত, বেলাল আহমদ, নিখিল দেবনাথ গোয়ালাবাজার পাদুকা সমিতির নেতা আব্দুল গফ্ফার প্রমূখ। এছাড়া বৈঠকে শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বণিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ ও কিছু ব্যবসায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মোঃ রফিকুল ইসলামের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়টি অবহিত করতে করেন।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউ রহমান মানিক বলেন, জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির কথা বিবেচনায় নিয়ে সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যমতে নিত্যপণ্য ও ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গোয়ালাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রব গেদা মিয়া বলেন, সরকার জনস্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাঠ খোলার অনুমতি দিয়েছে। এজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। গোয়ালাবাজার একটি ব্যবসায়ীক ব্যস্থতম এলাকা। এই বাজারে জনসমাগম বেশী হয়ে থাকে।
ঈদের সময় বাজারের অলিগলিতে জনস্রোত সৃষ্টি হয়। মার্কেটে জনসমাগমের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেক বেশি। সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানো দুরূহ হওয়ায় সকল ব্যবসায়ীরা দোকানপাঠ বন্ধ রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমেছে।