সিলেট ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৫ শিক্ষককের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাদরাসাকেন্দ্রে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র তৈরি ও পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করার অপরাধে ৫ শিক্ষককের প্রত্যেককে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার সকালে উপজেলার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে পরিক্ষার প্রথম দিন এই ঘটনা ঘটে। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হল, উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী সুপার মো. মাজহারুল ইসলাম (৪২), একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদরাসার কেন্দ্র সহকারী সুপার মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিস্বর মাদেনিয়া গাউছিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্বাস আলী (৫০)। ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার পর তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলমান দাখিল পরীক্ষার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রে ছিল কোরআন মাজিদ ও তাজিভিদ পরীক্ষা। সোমবার সকালে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে ওই ৫ শিক্ষক মিলে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর লিখছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন কেন্দ্র পরিদর্শনে যায়। পরে কেন্দ্র সচিবের পাশের রুমে যেতেই ৫ জন শিক্ষক মিলে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর লেখা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে।
পরে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেওয়া হলে তারা প্রত্যেকে তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৪ জন পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন না। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার স্কুল এন্ড কলেজের মাদরাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিকী ও হলসুপার আব্দুর রউফকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজিমুল হায়দার জানান, নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র তৈরি ও পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করার অপরাধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ১৯৮০ এর ধারা ৯ (ক) মোতাবেক প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
সূত্র-ইত্তেফাক