লন্ডনে দুই রুমে ৩৩ জনকে বসবাসে বাধ্য করায় ফ্ল্যাটের মালিকদের জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

লন্ডনে দুই রুমে ৩৩ জনকে বসবাসে বাধ্য করায় ফ্ল্যাটের মালিকদের জরিমানা

লন্ডন অফিসঃঃ

লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় একটি বাসার দুই রুমের মধ্যে ৩৩ জন লোককে গাদাগাদি করে বসবাসে বাধ্য করায় ফ্ল্যাটটির মালিক ও প্রোপার্টি এজেন্টকে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা করেছেন আদালত। অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে এসময় ৫ জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

 

সম্প্রতি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের অফিসাররা ৫-৭ কোর্ট স্ট্রিটের ঐ ফ্ল্যাটে অভিযান চালান। অভিযানকালে অবৈধভাবে ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে দুই রুমে ৩৩ জন লোক বসবাসের ব্যপারে সত্যতা পান।  এসময় পুলিশসহ অন্যান্য পার্টনার এজেন্সির কর্মকর্তারা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

 

কাউন্সিল ফ্ল্যাটটির মালিক ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এস্টেট এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।  এ বিষয়ে ৩ জানুয়ারি টেমস ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে শুনানিকালে ফ্ল্যাটের মালিক মকবুল খান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের দায় স্বীকার করে নিলে তাকে ২২ হাজার ৫০০ পাউন্ড জরিমানা করেন আদালত।

 

এদিকে, অপর অভিযুক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট এআরএস প্রোপার্টিজ এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবুল মিয়া আদালতে উপস্থিত না থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত  হওয়ায় আদালত তাকেও ১,৬৫০ পাউন্ড এবং তার প্রতিষ্ঠান এআরএস প্রোপার্টিজকে ১,৬৫০ পাউন্ড জরিমানা করেন। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে মামলার খরচ বাবদ ১,৭০১.৭৩ পাউন্ড প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত।

 

এব্যপারে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস বলেন, যে ভাবে  ভাড়াটেদের গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আদালতের এই অর্থদন্ড তাদের জন্য একটি সতর্ক বার্তা।  এমনটা আর কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না।

 

ডেপুটি মেয়র এবং হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইংরেজি ভাষা জ্ঞানের অভাব, আবাসন সংক্রান্ত অধিকার ও সহায়তা সেবা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবের ফলে অভিবাসীরা যে ক্রিমিনাল ল্যান্ডলর্ডদের দ্বারা শোষিত হচ্ছেন তারই আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে এই মামলাটি।

Spread the love