সিলেট ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের কেন্দ্রস্হল মার্তিম মনিজ। ঢুকলে মনে হবে,এ যেন সিলেটের ‘ জিন্দাবাজার ’।শুধু তাই নয় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের কেন্দ্রস্থল ও ঐতিহ্যবাহী মার্তিম মনিজের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা, রুয়া দো বেনফরমসোয় ঢুকলে মনে হবে, এ যেন ছোট্ট এক টুকরো ‘বাংলাদেশ’। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের মধ্যে সিলেটের লোক সংখ্যা চোখে পরার মতো। যাদের অধিকাংশ ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্তুগীজ সরকারের ঘোষিত সহজ ইমিগ্রেশন আইনে বৈধতা লাভের আশায় পাড়ি জমিয়েছেন।এর ফলে নতুন করে আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে পর্তুগালের মার্তিম মনিজ এলাকা।
তবে তার মধ্যে সবচেয়ে মজার যে বিষয় পর্তুগালে সিলেটের কথা মনে করিয়ে দেয় তা হলো সিলেটের মেয়র আরিফুল হক কে দেখে যেভাবে ফুটপাতের দোকানদাররা মালামাল নিয়ে ভয়ে ফুটপাত থেকে সড়ে যান টিক তেমনই লিসবনের রসসিও (ROSSIO ) তে গেলে চোখে পড়বে রাস্তা জুড়ে বসে আছেন দোকানদাররা । আর পুলিশ দেখলেই মালামাল নিয়ে সরে যান তারা ।
জুবেল আহমদ নামে এক বেক্তির সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমি আমার পরিবার নিয়ে পর্তুগালের লিসবনে বসবাস করে আসছি ।বিশেষ করে এই শহরের রসসিও ধরে হাঁটলে সিলেটের জিন্দাবাজারের আমেজ পাওয়া যায়।
বদরুল ইসলাম নামের সিলেটের এক ব্যবসায়ী জানান ২০১৫ সালে অনেক লোক বিভিন্ন দেশ থেকে পাড়ি জমিয়ে ছিলেন পর্তুগালে কিš‘ ২০১৯ সালে তারও অধিক লোক পাড়ি জমিয়েছেন এই দেশে । তার মতে সবাই পর্তুগীজ সরকারের ঘোষিত সহজ ইমিগ্রেশন আইনে বৈধতা লাভের আশায় পাড়ি জমিয়েছেন।
এ বিষয়ে পর্তুগালে বসবাসরত সিলেটের আব্দুল হান্নান চৌধরী নামের এক ব্যবসায়ী জানান লিসবনের মার্তৃম-মুনিজে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। মার্তৃম-মনিজের বেনফরমসো নামের সড়কের প্রায় সিংহভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মালিকানায়। প্রথম দেখায়, যে কেউ এই সড়ককে বাংলাদেশের কোনো সড়ক হিসেবে মনে করতে পারেন।
কারণ এখানে বাংলাদেশিদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিস রয়েছে, দেশীয় শাক-সবজি, মাংসের দোকান, অসংখ্য বাংলাদেশি খাবারের রেস্তেরাঁসহ আশপাশের প্রায় সবকটি দালানবাড়িই বাংলাদেশিদের দখলে।শুধু তাই নয় মার্তৃম-মুনিজের বেনফরমসো নামের সড়কের মধ্যেই রয়েছে দুটি মসজিদ ।যার মধ্যে শুক্রবারে তিনটি জামাতে নামাজ অনুষ্টিত হয় ।পর্তুগালের বিভিন্ন যায়গায় বসবাসরত বেশিরভাগ বাঙ্গালীরা এখানে এসে জুমার নামাজ আদায় করেন ।