সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
প্রথমে অপহরণ করা হয়েছিল বয়স সতেরর প্রজ্ঞাকে (ছদ্মনাম)। পরে ধর্ষণ করা হয়, এরপর খুন করে দলিত এই কিশোরীর লাশ একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে গণধষর্ণের মামলা করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম খবরে বলা হয়, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) আহমেদাবাদের আরাবল্লী জেলার মোডাসা তাকুল এলাকায় অপহরণের পর ধর্ষণ এবং পরে খুনের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ৫জন চিকিৎসকের একটি প্যানেল ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়, খুনের আগে কিশোরীরর সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল।
এতে আরও বলা হয়, কিশোরীর দেহে যে দাগগুলো রয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট, তাকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তার সঙ্গে নৃশংসভাবে অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। পরে খুন করে লাশটি একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
আননন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ৫জন চিকিৎসকের প্যানেল যে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরি করে সেটি দ্বিতীয়। এর আগেও এ ঘটনায় একটি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। কিন্তু তাতে খুন বা ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
দ্বিতীয় প্রতিবেদন দেখে অবাক হয়ে যান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। প্রথমটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না, খতিয়ে দেখছেন তারা।
এদিকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় পুলিশ তদন্তপ্রক্রিয়াকে ভুলপথে চালিত করছে বলে অভিযোগ করেছে দলিত কিশোরীর পরিবার ও সমাজকর্মীরা।