স্বামীর পাঠানো জিনিস দিতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

স্বামীর পাঠানো জিনিস দিতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষন

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক প্র’বাসীর স্ত্রীকে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগে দুইজনকে গ্রে’ফতার করে জে’ল হা’জতে প্রে’রণ করেছে পু’লিশ।

গ্রে’ফতারকৃ’তরা হলেন জেলার মহেশপুর উপজেলার আলামপুর গ্রামের মাসুদ ও তার ভাতিজা রিয়াদ। এ ঘ’ট’নায় শনিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভি’কটিমের ডাক্তারি পরী’ক্ষা করানো হয়েছে।কোটচাঁদপুর থা’নার ওসি মো.

মাহবুবুল আলম জা’নান, ভি’কটিমের স্বামী ও গ্রে’ফতারকৃ’ত মাসুদ একই গ্রামের বাসি’ন্দা। স’ম্পর্কে রবিউল ও মাসুদ চাচা-ভাতিজা। দুইজনই দী’র্ঘদিন ধ’রে মালয়েশিয়ায় চাকরি করে আ’সছেন।

তিনি আরও জা’নান, চ’লতি মাসের ১২ তারিখে মাসুদ দেশে আসেন। ভি’কটিমের স্বামী রবিউল তার কাছে স্ত্রী ও একমা’ত্র সন্তানের জন্য জিনিসপ’ত্র দিয়ে পা’ঠান।পরের দিন ওইসব জি’নিসপ’ত্র দেয়ার জন্য মাসুদ কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের গাবতলাপাড়ায় ভি’কটিমের ভাড়া করা বাসায় আসেন। এ সময় ভা’গ্নে রিয়াদকে পা’হারায় রেখে জো’রপূ’র্বক ওই গৃহবধূ’কে ধ’র্ষণ করেন মাসুদ।

এদিকে এক স্ত্রী’কে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পঁচিশ বছর দাম্পত্য জীবন কা’টানো নিজের স্ত্রী’’কে নিয়ে অন্য আরেকজন অ’বৈধভাবে সংসার করায় স্ত্রী’’কে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে স্বামীর লিখিত অ’ভিযোগ দায়ের।জানা গেছে, উপজে’লার বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের এনায়েত পাইকের দাম্পত্য জীবনে এই অশান্তি বিরাজ করছে। উপজে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান ও থানা প্রশাসনের কাছে বিচারের দাবি জানিয়ে স্ত্রী’’কে ফিরে পেতে ভুক্তভোগী এনায়েত পাইকের (৭০) দায়ের করা লিখিত অ’ভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,

গত বিশ বছর আগে পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজে’লার বান্ধাবাড়ি গ্রামের ছোমেদ শেখ এর মেয়ে মেনোকার সাথে তার বিয়ে হয়।এনায়েত পাইক জানান, তার প্রথম স্ত্রী’ মা’রা যাবার দুই বছর পর স্বামী পরিত্যাক্তা মেনোকাকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে বিয়ে দেয়ার পরে ৮/১০ বছরের ছেলে নিয়ে তাকে কিছু না বলে গত তিন বছর আগে তার স্ত্রী’ মেনোকা একই উপজে’লার গৈলা ইউনিয়নের নগরবাড়ি গ্রামের মৃ’ত তালেব খানের ছেলে বেকারী ব্যবসায়ি হাকিম খান (৫৫)এর সাথে অ’বৈধভাবে বসবাস করে আসছে।

এনায়েত পাইক অ’ভিযোগে আরও বলেন, তার স্ত্রী’ মেনোকা তাকে কোন রকম তালাক না দিয়ে অন্যজনের সাথে অ’বৈধভাবে বসবাস করে দেশের প্রচলিত আইন ও শরীয়া আইন বিরোধী কাজ করছে। হাকিম খানের সাথে বসবাস করলেও বাকাল ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি চাল গ্রহনের সুবিধাভোগীর তালিকায়ও মেনোকার স্বামীর নাম এনায়েত পাইক লেখা রয়েছে।এনায়েত পাইক অ’ভিযোগের কপি উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা বিপুল চন্দ্র দাস, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন, বাকাল ইউপি চেয়ারম্যোন বিপুল দাস, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইস’লাম টিটুকেও প্রদান করেছেন

নগড়বাড়ি গ্রামের শাহনুর হাওলাদার ধলা, স্থানীয় মেম্বর মশিউর সরদারের উপস্থিতিতে অ’ভিযোগের ব্যাপারে হাকিম খান ও মেনোকা নিজেদের স্বামী স্ত্রী’ পরিচয় প্রদান করে জানান, ২০১৬ সালের ২ জুন মেনোকার বাবার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজে’লার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের বিবাহ রেজিষ্ট্রার কাজী আব্দুস সামাদ খান মেনোকার বাবা ছোমেদ শেখ এর উপস্থিতিতে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করা কাবিনের রেজিষ্ট্রারের সত্যায়িত কপি প্রদর্শন করেন। এসময় হাকিম খানকে বিয়ের আগে একই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি পূর্বের স্বামী এনায়েত পাইককে মোনোকা তালাক দিয়েছেন বলে জানান। স্থানীয়রা জানান, হাকিম পাইকের এটা চতুর্থ ও মেনোকার তৃতীয় বিয়ে। এনায়েত পাইক কোন তালাকনামা পাননি বলে জানান।

বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন নিকাহ রেজিষ্ট্রার আ. ছামাদ শেখ এর বাড়ি গেলে তার অনুপস্থিতিতে তার ছেলে বর্তমানে ওই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার মো. নাছির উদ্দিন খান তার বাবার মাধ্যমে তালাকনামা ও নিকাহর কাবিননামা’র সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার বাবা ২০১৬ সালে অবসরে যাওয়ায় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে তিনি সরকারীভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। উল্লেখিত তারিখে তার বাবার সঙ্গে তিনিও উপস্থিত থেকে উল্লেখিত হাকিম খান ও মেনোকার বিবাহ সম্পন্ন করান।

নিকাহ রেজিস্ট্রার দেখতে চাইলে নাসির খান জানান, তার বাবার আমলের সকল ভলিউম গোপালগঞ্জ জে’লা রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। গোপালগঞ্জ জে’লা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের রেকর্ড কিপার নাজমা বেগম জানান, উল্লেখিত তারিখে মেনোকা ও হাকিম খানের বিয়ের কোন রেকর্ড রেজিষ্ট্রার বহিতে নেই। বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক কাজী ছামাদ শেখের ছেলে বর্তমান কাজী নাসির উদ্দিনকে জে’লা রেজিষ্ট্রারের রেকর্ড কিপার নাজমা বেগমের বক্তব্য “ভলিউমে বিয়ের রেকর্ড না” থাকার কথা জানালে নাসির সময় চেয়ে বলেন, তিনি ভলিউম দেখে কাবিনের কপি পরে দেখাবেন !

উল্লেখ্য, আগৈলঝাড়া উপজে’লায় নিকাহ রেজিষ্ট্রারেরা এলাকায় বাল্য বিয়ে পড়াতে অস্বীকৃতি জানালে ওই বাল্য বিয়ের বর-কনের অ’ভিভাবকেরা পাশ্ববর্তি কোটালীপাড়ার বান্ধাবাড়ি এলাকার নিকাহ রেজিষ্ট্রার দিয়ে বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করানোর বিস্তর অ’ভিযোগ রয়েছে।

উপজে’লা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত অ’ভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি প্রথমে সামাজিকভাবে দেখার দায়িত্ব দেয়া হবে। সমাধান হলে ভালো না হয় আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, অ’ভিযোগের কপি তিনি হাতে পান নি। অ’ভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এরকম একটি অ’ভিযোগ পেয়ে এসআই জামাল হোসেনকে ত’দন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসআই জামাল হোসেন জানান, উভয় পক্ষকে থানায় ডা’কা হয়েছে। তাদের কথা শুনে, কাগজপত্র দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, তিনি মেনোকাকে ভিজিডি কার্ড দেন নি। পূর্ববর্তি ইউএনওর শুপারিশে এনায়েত পাইকের স্ত্রী’ হিসেবে মেনোকা ভিজিডি কার্ড উত্তোলন করছে। চাল উত্তোলন করে এনায়েতকে অর্ধেক দেয়া হয় আর অর্ধেক মেনোকা নেয়।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031