সিলেট ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
এনগেজমেন্ট বা বাগদান সম্পন্ন হওয়ার পর একটি শিশু সন্তান প্রত্যাশা করছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও প্রেমিকা ক্যারি সায়মন্ডস। তারা দু’জনেই এ ঘোষণা দিয়েছেন। ইন্সটাগ্রামে ক্যারি সায়মন্ড লিখেছেন, গত বছর শেষের দিকে তারা এনগেজমেন্ট বা বাগদান সম্পন্ন করেছেন। আর এবার গ্রীষ্মের শুরুর দিকে একটি শিশু সন্তান প্রত্যাশা করছেন। এ জন্য তিনি অবিশ্বাস্য ধন্য মনে করছেন। তবে বরিস জনসনের সঙ্গে এখনও তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। যদি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাহলে বরিস জনসনই হবেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি ক্ষমতায় থাকাকালে বিচ্ছেদ সম্পন্ন করে নতুন বিয়ে করবেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বয়স ৫৫ বছর। তার প্রেমিকা সায়মন্ডের ৩১ বছর। গত বছর যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জনসন তখন সায়মন্ডকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত বাসা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করেন।
এ সময়ে তারা বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন না। এর মধ্য দিয়ে তিনি এক নতুন ইতিহাস রচনা করেন। কারণ, এর আগে কোনো ‘ফার্স্ট কাপল’ অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী ও তার মিসেস অবিবাহিত অবস্থায় ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করেন নি। এই রেকর্ড প্রথম স্থাপন করেছেন বরিস। এছাড়া ১৭৪ বছরের ইতিহাসে বৃটিশ একজন প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে কম বয়সী পার্টনার হলেন ক্যারি সায়মন্ড।ক্যারি সায়মন্ড তার ব্যক্তিগত ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে লিখেছেন, আপনাদের অনেকেই এরই মধ্যে জানেন। কিন্তু আমার বন্ধুদের মধ্যে যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি। গত বছর শেষের দিকে আমরা (বরিস ও সায়মন্ড) এনগেজমেন্ট সম্পন্ন করেছি। এই গ্রীষ্মের শুরুতে আমরা একটি শিশু সন্তান প্রত্যাশা করছি। অবিশ্বাস্যভাবে ধন্য মনে হচ্ছে।ক্যারি সায়মন্ডকে বিয়ে করলে এটা হবে বরিস জনসনের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী মেরিনা হুইলারের সঙ্গে আলাদা বসবাস করছেন। আদালতের এক শুনানিতে এরই মধ্যে বলা হয়েছে, অর্থসম্পত্তির বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী ও মিসেস হুইলার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত।
বরিস জনসন ও মিসেস হুইলারের রয়েছে চারটি সন্তান। এই দম্পতির বিয়ে হয় ১৯৯৩ সালে। তারপর ২০১৮ সালে এসে তারা আলাদা হয়ে যান। ওদিকে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী হারান একজন চ্যান্সেলর এবং তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। এর ফলে তিনি প্রচ- এক চাপে পড়ে যান। এর কয়েক ঘন্টা পরেই বরিস জনসনের জন্য আসে খুশির খবর। তিনি সব সময়ই তার ব্যক্তিগত জীবন ও সন্তানদের বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছুক। তবে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি আবার পিতা হতে চলেছেন। সম্প্রতি ওয়েস্টমিনস্টারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, তার পার্টনার ক্যারি সায়মন্ডকে ইদানীং নিয়মিত দেখা যাচ্ছে না। তিনি নিজে একজন প্রথম সারির পরিবেশবাদী। সম্প্রতি তিনি নিজের জন্য একটি ব্যক্তিগত পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছেন। এ জন্য কনজারভেটিভদের তহবিল ব্যবহার করা হবে।