ইতালিতে করোনাভাইরাসের একদিনেই ১৩৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০

ইতালিতে করোনাভাইরাসের একদিনেই ১৩৩ জনের মৃত্যু

 

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে একদিনে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জনে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম মেট্রোর খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেড় কোটি মানুষকে কোয়ারেনটাইনে রাখার মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইতালি। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৭৫ জনে।

 

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা চীনের পরই এখন ভূমধ্যসাগরীয় দেশ ইতালির অবস্থান। চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৮ জনে। চীন ও ইতালির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইরানে ১৯৪ জন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মৃতের সংখ্যা একদিনে বেড়েছে ৪৯ জন।

 

এ ছাড়া ফ্রান্সে ১৯ জন, স্পেনে ১৭ জন ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০২। বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯৬। এর মধ্যে প্রায় ৬১ হাজার জন সেরেও উঠেছেন।

 

ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় রোববারই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে কোয়ারেনটাইনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।১৪টি প্রদেশের ওই দেড় কোটির বেশি মানুষ এখন বিশেষ অনুমতি ছাড়া এলাকা ছাড়তে পারবেন না। এ ছাড়া স্কুল, জিম, জাদুঘর, নাইটক্লাব বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

 

এদিকে, ইতালির সেনাপ্রধান সালভাতর ফারিনাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। তবে তিনি বলেছেন, তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন এবং ভালোই আছেন।

 

এ ছাড়া রোববার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন বিকেলে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

 

তিনি জানান, বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ, অপরজন নারী। কোভিড-১৯ আক্রান্ত এই তিন ব্যক্তির মধ্যে দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছেন।

Spread the love