পরীক্ষায় ফেল করেও রাবিতে ভর্তি ৪৩ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২০

পরীক্ষায় ফেল করেও রাবিতে ভর্তি ৪৩ শিক্ষার্থী

 

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তির ন্যুনতম পাশ নম্বর ৪০। তবে পাশ নম্বর তুলতে ব্যর্থ হয়েও চলতি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৪৩ শিক্ষার্থী। উল্লেখিত শিক্ষার্থীর সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তান। পোষ্য কোটায় উপাচার্যের বিশেষ বিবেচনায় প্রতিবছরই এমন ভর্তির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন মানবিকের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আহসান কবির।

 

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ ও ২২ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাশ নম্বর ছিল ৪০। নিয়ম অনুযায়ী পাশ নম্বর পাওয়ার পরই পোষ্য কোটা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটায় ৪০ এর কম এবং ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম করতে বলা হয়। এরপর ২ জানুয়ারি তাদের ভর্তির সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ৪৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।

 

মানবিকের (‘এ’ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আহসান কবির জানান, এমনটি প্রতিবছরই হয়ে থাকে এবং ভর্তি পরীক্ষার মূল কমিটিতে উপাচার্য স্যারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই হয়। আসন সংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ পোষ্য কোটায় পূরণ করা হয়। এবারে ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ওই পরিমাণ আসন সংখ্যার বিপরীতে থাকা শিক্ষার্থীরা পাশ নম্বর তুলতে পারেনি। পরে আসন শূন্য থাকার প্রেক্ষিতে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখানে অনিয়মের কিছু হয়নি।

 

এদিকে মানবিক ইউনিট প্রধান বিষয়টিকে স্বাভাবিক বললেও বিজ্ঞান (সি) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান ড. মো. একরামুল হামিদ বলেন, ‘সবচেয়ে মেধাবীদের মূল্যায়নের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু কোটার নামে উচ্চশিক্ষার এই প্রতিষ্ঠানে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা উচিত হয়নি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুঃখজনক।

 

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে চরম অনিয়ম অ্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আকতার বানু বলেন, ‘এটা চরম অন্যায়। এধরণের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এরকম হলে ভর্তি পরীক্ষার দরকার কী? তাদের এমনিতেই ভর্তি করা হোক। যারা এই ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

 

এ বিষয়ে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত।

 

তবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘পোষ্য কোটার আসন খালি দেখে তারা মনে করেছেন যে নম্বর আরেকটু শিথিল করা যায়। ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একাধিকবার চেষ্টা করেও উপাচার্য ড. আব্দুস সোবহানকে পাওয়া যায়নি।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30