সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২০
প্রতিনিধি/জগন্নাথপুরঃঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবার হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাধ প্রকল্প নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যে স্থানে বাধের প্রয়োজন নেই, সেখানে অপ্রয়োজনীয় বাধ। আবার যে স্থানে বাধ হওয়া অতীব জরুরী, সেখানে দেয়া হয়নি সরকারি বরাদ্দ। এসব ঘটনায় জনপ্রতিনিধি সহ জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।জানাগেছে, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর গ্রাম এলাকায় গভীর ৩টি খালের উপর ৩টি সেতু রয়েছে। এসব খাল দিয়ে স্থানীয় পিংলার হাওরে গিয়ে পানি প্রবেশ করে থাকে। প্রতি বছর এসব সেতুর নিচে বেড়িবাধের কাজ হলেও এবার সরকারি কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। গত বছরও এসব বাধে ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তবে এবার কোন বরাদ্দ না দেয়ায় জগন্নাথপুর পৌরসভার উদ্যোগে হাওর রক্ষার্থে বাধ নির্মাণ করা হয়েছে।
১১ মার্চ বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, পিংলার হাওরের ফসল রক্ষায় পৌরসভার উদ্যোগে কেশবপুর গ্রামের বড়খালের মুখে ১৮ ফুট উচ্চতা ও ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য, উত্তরপাড়া খালের মুখে ১০ ফুট উচ্চতা ও ২০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং পেরুয়ার খালের মুখে ৮ ফুট উচ্চতা ও ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ৩টি বাধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এ সময় কাজের দায়িত্ব পাওয়া স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর তাজিবুর রহমান বলেন, পিংলার হাওরের ফসল রক্ষায় এসব স্থানে বাধ নির্মাণ করা অতীব জরুরী। গত বছরও এসব বাধের জন্য সরকারি ভাবে ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও এবার অজানা কারণে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তবে সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার জন্য মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের ডিও লেটার সহ অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় পৌরসভার উদ্যোগে ২ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র শফিকুল হক বলেন, স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এবার কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। যে কারণে পিংলার হাওরের ফসল রক্ষায় বাধ্য হয়ে পৌরসভার উদ্যোগে বাধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, নলুয়ার হাওর পোল্ডার-১ ও পোল্ডার ২ এর অর্ন্তভূক্ত না হওয়ায় এসব স্থানে সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য বছর মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয়ের অুনরোধে দেয়া হয়েছিল। তবে এবার চেষ্টা করেও বরাদ্দ দেয়া যায়নি।