সিলেট ২৯শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমমানুৃেয়ল ম্যাক্রন সোমবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দ্যেশে দেয়া ভাষনে বলেছেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে “আমরা যুদ্ধে রয়েছি”। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ করছি। অবশ্যই একটি স্বাস্থ্য যুদ্ধ। গুরুত্বপূর্ন এ ভাষনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন, অবাধ চলাচলে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করেন।ফ্রান্সে করোনাভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নতুন এবং কঠোর ব্যবস্থা ঘোষণা করার সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আপনাদেরকে বাড়িতে থাকতে বলছি। আমি আপনাকে শান্ত থাকতে বলছি। মঙ্গলবার, দুপুর থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য ফ্রান্স লকডাউন থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।ভাষনে ম্যাক্রন আরও বলেন, সকলে চিকিৎসা নিতে পারবে এবং প্রয়োজন হলে কাজে যেতে পারবে তবে রাস্তায় বন্ধুদের সাথে কেউ সাক্ষাত করতে পারবে না। তবে সরকারের দেয়া এ আদেশ অমান্য করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রত্যেককে এ মহামারীর বিস্তার রোধে একত্রিত হতে হবে। তিনি বলেন,”আপনি যদি আমাদের সহায়তা করতে চান, তাহলে ঘরে থাকুন” এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা শুনুন।এছারাও ভাষনে তিনি,আগামী ৩০ দিনের জন্য সকল ইউরোপীয়ান বর্ডার বন্ধের ঘোষণা করেছেণ যা আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে কার্যকর হবে। শুধু তাই নয়, রবিবার দেশটিতে অনুষ্টিত হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহন স্থগিত করেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট।
ম্যাক্রন বলেন, বিরুধী দল সহ অন্যান্য দলগুলোর সাথে আলোচনার পরিপেক্ষিতে আমরা দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহন স্থগিত করেছিসংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার বিদ্যুৎ,গ্যাস,ও পানির বিল স্থগিত করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশটির যেসকল নাগরিক বেনিফিট পাচ্ছেন তাদের অর্থ বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান। ম্যাক্রন বলেছেন, “আমরা দেখেছি লোকেরা সরকারের পরামর্শকে সম্মান করে না, তারা পার্ক ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । যদিও ফরাসী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ লোকদের যতটা সম্ভব বাড়ীতে থাকার জন্য অনুরোধ করেছিল। ম্যাক্রোঁ বারবার উল্লেখ করে বলেন, ফ্রান্স ভাইরাসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে । “যত বেশি আমরা একসাথে কাজ করব তত দ্রুত আমরা এটিকে পরাভূত করব।এদিকে ফ্রান্সের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা সান্তা পাবলিক ফ্রান্স জানিয়েছ, সোমবার করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮ এবং আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬শত জন।