সিলেট ৯ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০
জেলা প্রতিনিধিঃঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হাট-বাজারে মানুষজনের উপস্থিতি কমে গেছে। করোনা ভাইরাসকে অজুহাত করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকস্মিক কমলগঞ্জের শমশেরনগর, ভানুগাছসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্রেতাদের পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার হিড়িক শুরু হয়। বাজারে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ক্রেতারা ঈদের বাজারের মত পেঁয়াজ, চাল, রসুন, চিনি, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে দেখা যায়।
শমশেরনগরের ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়ে যায়। ক্রেতারা সবাই পেঁয়াজ, রসুন, ডাল,তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনেন মোদী দোকানের বাহিরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে। গত বুধবার রাত পর্যন্ত প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও ক্রেতাদের হিড়িক দেখে দোকানীরা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন চৌধুরী বাজার মনিটরিং শুরু করেন।
ভানুগাছ ও শমশেরনগর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মোদী দোকানী এ প্রতিনিধিকে বলেন, শ্রীমঙ্গলের আড়ৎ থেকে জেনেছেন পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আড়তে আগের দামে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে না। আর এ খবর ক্রেতারা জেনে রাতেই অতিরিক্তহারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন। পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশী নেওয়া হয়েছে মাত্র। অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম সামান্য বেড়েছে। সকালে নির্বাহী হাকিমের বাজার মনিটরিং সম্পর্কে মোদী দোকানীরা বলেন, তিনি এসে দোকানীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সকহারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম নাসরিন চৌধুরী বলেন, দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে তিনি শমশেরনগর, ভানুগাছ বাজারসহ বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেছেন। তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গল আড়তে কিছুটা দাম বাড়ায় হাট বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে মোদী দোকানীরা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, মোদী দোকানীদের কড়াভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন মূল্য তালিকা টানানোর জন্য। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে ইচ্ছেকৃতভাবে দাম বাড়ালে দোকানীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।