সিলেট ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ৬৮তম জন্মদিন আজ বুধবার। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। সে সময় শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল জার্মানির কার্লসরুইয়ে বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকায় বেঁচে যান তিনি। সেখান থেকে ভারতে চলে যান দুই বোন।
পরে শেখ রেহানা লন্ডনে চলে যান। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে ভারত থেকে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনো রাজনীতিতে আসেননি শেখ রেহানা। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সক্রিয় রাজনীতিবিদদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। জনহিতৈষী কাজে সবসময়ই ভূমিকা রাখছেন শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, সবার কাছে ‘ছোট আপা’ বলে পরিচিত। অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনে নন্দিত রাজনীতিক।
তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির একজন সদস্য (এমপি)। ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক লন্ডনে কন্ট্রোল রিস্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস সম্পাদক। শেখ রেহানা প্রথম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পিতা শেখ মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। ১৯৭৯ সালের ১০ মে বিশ্ব মানবতার কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তোলেন। সেদিন সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠান থেকে বোন শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমবারের মতো ঘৃণ্য ওই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তোলেন।
সেদিন শেখ রেহানা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কমিশনের চেয়ারম্যান, আমেরিকার কংগ্রেসের হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের প্রধানদের কাছে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিচারের প্রশ্নে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।