দোয়ারাবাজারে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে গ্রাম্য সভা করে কিস্তি আদায়

প্রকাশিত: ১২:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০

দোয়ারাবাজারে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে গ্রাম্য সভা করে কিস্তি আদায়
Spread the love

৭৯ Views
এনামুল কবির মুন্না /দোয়ারাবাজারঃঃ
মহামারী করোনার প্রভাবে দোয়ারাবাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে । দুদর্শা আর দুচিন্তা কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা যেন তাদের।সরকারের মঙ্গলবার ২৪ মার্চ) সরজমিনে উপজেলার বাংলাবাজার ও আশে পাশের কিছু অঞ্চল ঘুরে দরিদ্র পরিবার ও ব্যাবসায়ীদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এ সকল তথ্য জানা যায়।
যেমন দোয়াবাজারের বাংলাবাজার,বাশতলা,মৌলারপাড়,পেকপাড়া,ইদুকোনা,চৌধুরীপাড়া বাজার,হকনগরবাজারে ঘুড়ে বিভিন্ন আয়ের ব্যাবসায়ী চায়ের দোকান, কাচামাল,মুদিমনোহারি,খাবারেরহোটেল,অটোরিক্সা চালক ও মোটরসাইকেল চালক সহ কয়েকটি নিম্ন আয়ের ক্ষুত্র ব্যাবসায়ী জানান, গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাবাজার শাখার অফিসারেরা কিস্থি নিতে বাড়িতে এসে বসে আছে মহিলাদের জড়ো করে টাকা নিচ্ছে , করোনা আতঙ্কের কারনে আজ মানুষ হাট বাজার থেকে শুন্য প্রায়। আমাদের ১ জনের সিমীত আয়ের মধ্যদিয়ে ৪/৫ আবার কারো কারো ৬-৭ জনের সংসার কোন রকমে চলে। আমরা এখন নিজেরাই সংসার চালাতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছি।
বেশ কিছুদিন আগে দোকান থেকে যেখানে দৈনিক ৩-৪শত টাকা আয় হত সেখানে এখন কোন রকমে ১৫০-২০০ টাকা আয় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।এ ছাড়াও বাজারের কিছু আসাধু ব্যাবসায়ীদের কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দামও বেড়েছে।জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যাবস্থা থাকলেও থেমে নেই তাদের দৌরত্ব।এছাড়াও তারা জানান আমাদের ছেলে মেয়ের স্কুলে লেখাপড়ার খরচ দিতে হয় প্রতিমাসে তারপর আবার প্রতি সপ্তাহে গুনতে হয় সমিতির কিস্তি।এদিকে আবার শুনতে পাচ্ছি আগামী ২৫ মার্চ থেকে ৬ দিন বন্ধ রাখতে হবে দোকান পাট এ অবস্থা যদি বেশিদিন চলতে থাকে তাহলে আমাদের তো অনাহারে দিন কাটাতে হবে।
সেই চিস্তা করতে করতে আমরা এখন দিশে হারা হয়ে পড়ছি।বাধ্য হয়ে অনেকে চায়ের দোকানও বন্ধ করে দিয়েছে। দিনমজুর খাটতে গেলেও কেউ আমাদের কাজে নিচ্ছে না।আমারা এখন কিভাবে সংসার চালাবো তাই ভেবে পাচ্ছিনা।সরকার থেকে আমাদের যে সকল নির্দেশনা দিয়েছে আমরা তাও পালন করছি। কিন্তু আমরা তো নিম্ন আয়ের মানুষ সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায় সংসার কিভাবে চালাবো?সরকার যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের মত কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের দিকে কোন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিত তাহলে আমাদের কষ্টটা একটু লাঘব হত। পরিশেষে তাদের এই দূর্দশা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভুগী জনসাধারন।
গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাবাজার শাখা ব্যবস্থাপক সত্যন্দ্র দেবনাথ কিস্থি নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন অফিস আদেশ পাইনি তাই কিস্থি নিচ্ছি উপরের আদেশ না পেলে আমরা কি করবো।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন কোন এনজিও যদি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930