সিলেট ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০২০
ডেস্ক রিপোর্টঃঃ
কুকুর কিংবা বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীর মাধ্যমে নভেল করোনাভাইরাস (এনকভ-১৯) ছড়াতে পারে, এমন শঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। যদিও এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।পোষা প্রাণী আছে এমন অনেককেই পরিবার কিংবা প্রতিবেশিরা চাপ দিচ্ছেন তাদের ভালোবাসার প্রাণীটিকে পরিত্যাগের জন্য।প্রাণীদের জন্য কাজ করে রাজধানী ভিত্তিক সংস্থা “কেয়ার ফর পজ”। সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, কুকুর কিংবা বিড়াল পোষেণ এমন অন্তত ৮ থেকে ১০ জন মানুষকে তাদের পরিবারের সদস্যরা তার ভালোবাসার প্রাণীটিকে পরিত্যাগের জন্য চাপ দিচ্ছেন। জাহিদ বলেন, “একজনকে তো তার ফ্ল্যাট মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভবনের ভেতরে পোষা প্রাণী রাখা যাবে না এমন নোটিশও দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস এক ধরনের “জুনোটিক” (অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়) ভাইরাস হওয়া সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুকুর কিংবা বিড়ালের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে এমন কোনো প্রমাণ নেই।একই অভিমত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক হেলথ ইন্সটিটিউশন “ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)”।গত সপ্তাহে একটি কুকুরের শরীরে স্বল্পমাত্রায় নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে দাবি করে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ জনগণকে কুকুরকে চুমু খেতে নিষেধ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা পরে জানান, কুকুরটি সংক্রমিত হয়নি বরং সেটির শরীরে স্বল্প পরিমাণ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। যেমনটা থাকতে পারে ঘরের মেঝেতেও।নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সব বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দিয়েছে।আর কেয়ার ফর পজসহ অন্যান্য প্রাণী কল্যাণ সংস্থা পরামর্শ দিচ্ছে পোষা প্রাণীকে পরিত্যাগ না করে সাবধানতা ও সচেতনতা অবলম্বনের।
জাহিদ বলেন, “ভাইরাস সংক্রমণের এই সময়ে আমাদের উচিত পোষা কুকুর-বিড়ালকে মুক্তভাবে বাইরে ঘুরতে না দেওয়া।”একইভাবে, পোষা প্রাণী আছে এমন কেউ যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তবে তার উচিৎ সেরে না ওঠা পর্যন্ত আদরের প্রাণীটির কাছে না যাওয়া।তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে ঘরের পোষা প্রাণী এমনকি রাস্তার কুকুর-বিড়ালকে নিয়েও ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”আর পোষা প্রাণীর সংস্পর্শে যাওয়ার পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কুকুর-বিড়াল থেকে মানুষের মাধ্যমেই সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গাইডলাইনে।