সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি/হবিগঞ্জঃঃ
নবীগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এসময় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় দুই ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার সালামতপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র ও ১টি দোকান ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শরীফ আহমেদ আবিদ ও জুয়েল মিয়া নামের ২ জনকে আটক করে। এবং সংঘর্ষে ভাংচুরকৃত ৭টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
গুরুতর আহতরা হলেন- জুলন মিয়া (২৩), পাবেল মিয়া (২৭), শরীফুল ইসলাম জুনেদ (২৮), সাইফুর রহমান বাবু (২৩), মুছন মিয়া (২৫) ও মহিম উদ্দিন (৭২)। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষনিক বাকি আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে শহরতলীর ছালামতপুর হাজারী কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ- সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক আরিফ ও বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামিল হোসেন ও রায়হান উদ্দিন।
সভার শুরুতেই ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলাম সোহেলের গ্রুপের নেতাকর্মীরা চেয়ার দখলে নেয়। পরে রায়েছ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার গ্রুপের নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে বসার জায়গা না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে আসলে উত্তেজনা আরো বেগতিক হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে সেন্টারের ভিতরেই চেয়ার নিয়ে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা মারামারি শুরু করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এতে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, ছাত্রদলের কর্মী সভায় দুগ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূণরায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।