সিলেট ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি/ হবিগঞ্জঃঃ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা গঠনের ২৩ বছরেও হয়নি কোনো স্থায়ী ঠিকানা। উপজেলার সাবেক সহকারী জজ আদালতের ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনে চলছে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম। নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নবীগঞ্জ পৌরসভার সাধারণ মানুষ।
জানা গেঝে, ১৯৯৭ সালে নবীগঞ্জ সদর ও করগাঁও ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয় পৌরসভা । প্রথম দুই বছর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৫ সালে জুলাইয়ে পৌরসভাকে ‘গ থেকে ‘খ’ শ্রেণিতে ও ২০১৩ সালে ‘খ’ থেকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীতকরণের ঘোষণা দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু পর্যাপ্ত সরকারি জমি না পাওয়ার অজুহাতে পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হয়নি গত ২৩ বছরেও। বর্তমানে যে ভবনে কার্যক্রম চলছে, সেটি জীর্ণ। বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। প্রায় আট বছর আগে একবার ও বছরখানেক আগে ভবনটির ছাদ মেরামত করা হয়। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানান, মৃদু ভূমিকম্প হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে আমরা প্রাণভয়ে বের হয়ে আসি।
পৌরবাসী ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে, নবীগঞ্জ পৌরসভা ২৩ বছরেও নিজস্ব ভবন পায়নি । পৌর শহরে এখনোও নেই পর্যাপ্ত সড়ক বাতি, গণশৌচাগার, আধুনিক মানের খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত উদ্যান। গ্যাস সংযোগ লাইন স্থাপনের কারণে অনেক ভঙ্গুর রাস্তাঘাট এখনো সংস্কার হয়নি।
পৌর মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, পৌরসভার ভবন তৈরি করতে কয়েকটি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। আশা করি, অচিরেই নবীগঞ্জ পৌরসভাকে নতুন ভবনে স্থানান্তর করতে পারব।