সিলেট ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
প্রতিনিধি/ মৌলভীবাজারঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলার কারণে অসুস্থ মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ‘ন্যায় বিচার’ চেয়ে নিহত লয়লার স্বজনরা গত ৯ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ দেওয়ার ২১ দিন পর কোনো বিচার না পাওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে বড়লেখা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিমের স্ত্রী লয়লা বেগম (৫৫) হঠাৎ অসুস্থ হন। এসময় আব্দুর রহিমের চাচাতো ভাই সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার ও অন্যান্য স্বজনরা লয়লা বেগমকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে।অভিযোগকারী আব্দুস সাত্তার আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু চালক রুবেল প্রথমে যেতে রাজি হয়নি। সে বলে ইতিমধ্যে সে কয়েকটি ট্রিপ মেরেছে। এখন সে ঘুমাবে। কর্তব্যরত ডাক্তারও অনুরোধ করে ব্যর্থ হন। পরে আমাদের কাকুতি মিনতি দেখে হাসপাতালের ডাক্তার (টিএইচও) তাকে কল করে রোগীকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। আমরাও রোগীকে নিয়ে সিলেট যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বাড়িতে চলে যাই। প্রায় দুই ঘন্টা পর চালক আমাদের বাড়ির কাছে গাড়ি নিয়ে আসে। গাড়িটি সে দূরে দাঁড় করিয়ে রাখে। যদিও আমাদের বাড়িতে গাড়ি প্রবেশ করে। কিন্তু সে রোগীকে ধরে এনে গাড়িতে তুলতে বলে। নানা টালবাহানায় কয়েক ঘন্টা সময় ক্ষেপণ করায় গাড়িতে তুলতে তুলতেই রোগী মারা যান।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শুধু চালকের অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত সিলেট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারলে হয়তো তাকে বাচাঁনো যেত। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে আমি গত ৯ জানুয়ারি মৌলভীবাজার সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু এখনও কোনো বিচার পাইনি।’এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ‘একটি অভিযোগের কপি আমার কাছে আছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এলবিএন/৩০-জে/এস ৭০/১০-০১