নবীগঞ্জে মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে আহত

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০

নবীগঞ্জে মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে আহত
১৬৫ Views

জেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ::

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদেরকে সিলেট  ওসমানি মেডিকেল কলেজে  হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

আহতরা হলেন- আলী হোসেন (২৮), তার ভাই মো. মফিজুর (২২), বোন লিপা বেগম (২৩), তাদের বাবা মুনসব মিয়া (৬৫) ও মা হাউয়ারুন বিবি (৫৫)। এ ঘটনায় আলী হোসেন বাদি হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব জাহিদপুর গ্রামের মহিবুর রহমান মুনসব মিয়ার ছেলে মো. আলী হোসেনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল তার চাচা হাজী আব্দুল মমিনের। আলী হোসেন নিরিহ হওয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে মারপিট ও হুমকি-ধামকি প্রদান করেন হাজী আব্দুল মমিন ও তার ছেলেরা।

 

সম্প্রতি উভয় পক্ষের যৌথ মালিকা একটি পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরতে চায় আব্দুল মমিন। কিন্তু পুকুরটি শুকালে গোসল ও থালা-বাসন ধুতে সমস্যা হবে বলে আলী হোসেন পুকুরটি না সেচতে চাচা আব্দুল মমিনকে অনুরোধ করেন। এ নিয়ে গত শনিবার দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল মমিন ও তার লোকজন আলী হোসেনের উপর হামলা চালান। তাকে বাঁচাতে আলী হোসেনের ভাই-বোন ও মা-বাবা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু তাদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন।

 

এ ব্যাপারে আলী হোসেন বলেন- ‘আমি নিরিহ হওয়ায় প্রায়ই আমার চাচা ও তার লোকজন আমাকে নির্যাতন করেন। এমনকি গ্রামের ময়-মুরব্বিদের স্বরণাপন্ন হলেও টাকা বিনিময়ে তারা এক তরফা বিচার-শালিশ করেন। যৌথ মালিকানার পুকুর না শুকাতে অনুরোধ করার কারণে তারা আমাকে, আমার ভাই, বোন ও মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম করে।

 

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তমর্কা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন- ‘মামলা নেয়া হয়েছে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। ঘটনার সত্যতা ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

December 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031