সিলেট ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
জেলা প্রতিনিধি/ সুনামগঞ্জঃঃ
প্রায় তিন বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তালাকের পর প্রেমিক নাসির আখঞ্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। এর মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক নাসির তার সঙ্গে বেশ কয়েকবার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। প্রেমিকা শাপলা বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিক নাসিরকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিয়ে করবে করবে বলে এড়িয়ে চলতে থাকে।
এক পর্যায়ে প্রেমিকা শাপলা জানতে পারে তার প্রেমিক নাসির তাকে বিয়ে না করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক তরুনীকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারী বিয়ে করবে সে। বিয়ের সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা ছুটে আসেন প্রেমিকের বাড়িতে। বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টারদিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের তরং গ্রামের প্রেমিক নাসিরের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরু করেন।প্ রেমিকা বাড়িতে আসার সংবাদ পেয়ে প্রেমিক নাসির পালিয়ে গেছেন বাড়ি থেকে । এ রিপোর্ট লেখা শুক্রবার ৭ পেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রেমিকা শাপলা প্রেমিক নাসিরের বাড়িতে অনশন করছে বলে জানা গেছে।
প্রেমিকা শাপলার মা জানান, তিনি গতকাল বাড়িতে ছিলেন না, জরুরী কাজে ইউনিয়ন পরিষদে ছিলেন। বাড়িতে এসে দেখেন তার মেয়ে বাড়িতে নেই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে প্রেমিক নাসিরের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশন করছে। তিনি বলেন, ‘এলাকার সবাই জানে তার মেয়ের সঙ্গে নাসিরের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি নাসিরের বড় ভাই সামনুর আখঞ্জিকে কয়েকবার জানিয়েছি, কিন্তু তারা এ বিষয়ে সমাধধানের কোন উদ্যোগ নেননি। গত দুই দিনের মধ্যে তার মেয়েকে স্বীকৃতি না দিয়ে নাসিরের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে ভয় ভীতি আর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রেমিক নাসিরের বড় ভাই সামনুর আখঞ্জি জানান, এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারী গত দুইদিন ধরে তাদের পুরাতন বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে। তার ভাই নাসির বাড়িতে নেই। নাসিরের সঙ্গে পাশ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। এরই মধ্যে এই নারী এসে বাড়িতে উঠেছে। এই নারী এর আগে আরো কয়েক জায়গায় বিয়ে হয়েছে।একটি প্রতিপক্ষ্য তাদের মানক্ষুন্ন করতে এ ধরনের ঘৃণ্যকাজ করিয়েছেন বলেও দাবী করেন তিনি ।
শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম বলেন, এ ঘটনাটি উভয় পক্ষের লোকজন তাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে শেষ করার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছেন, তবে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ বিষয়টি অবগত করেনি।