সে এভাবে চলে যাবে সত্যিই খুব কষ্টকর : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

সে এভাবে চলে যাবে সত্যিই খুব কষ্টকর : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। দেশে উন্নতি হচ্ছে কিন্তু আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে বিশেষ করে পচাত্তরের পর বিরাট অবদান রেখে গেছেন সেই সমস্ত ছাত্র নেতারা চলে (মারা) যাচ্ছেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনার পর শোক প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আব্দুল মান্নান পরপর ৩ বার সংসদ সদস্য ছিলেন। ঠিক মৃত্যুর দু’দিন আগেই তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে না পারায় তার মনে একটু দুঃখ ছিল। আমি বলেছিলাম, তুমি আমাদের দলে আছ এবং থাকবে। তোমাকে তো আমি মনোনয়ন দিয়েছি। তুমি সংসদ সদস্য হয়েছ। আমি বললাম, তোমার শরীরটা মনে হয় খারাপ। তুমি চিকিৎসা নাও। হাসপাতালে ভর্তি হও। ঠিক তার পরপরই সে হাসপাতালে ভর্তি হলো।

তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে ডাক্তারের সাথে কথা বলতাম। যে দিন তিনি মারা গেলেন সে দিন রাত ৯টার সময় আমি ডাক্তারের সাথে কথা বললাম। সে দিনই ডাক্তার আপা আমাকে বললেন, আপা ওর অবস্থা কিন্তু ভালো না। আমরা কিছু করতে পারব না। অবস্থা এমন হয়ে গেছে তাকে যদি বাইরে পাঠাতে পারি, কিন্তু বাইরে পাঠানোর মতো অবস্থাও তার নেই। পরের দিন সকাল বেলায় তার মৃত্যুর খবর পেলাম।

আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা একটু দুঃখজনক। ছাত্রজীবন থেকেই বিরোধী আন্দোলন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, খালেদা বিরোধী আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শওকত, ওয়ালি, মহসিনকে পিটিয়ে হত্যার মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরশাদ আমলে ট্রাকচাপা দিয়ে মারা হলো, আরও বহু ছাত্রকর্মী বিভিন্ন সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। বিভিন্ন সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনের তালিকা দিতে গেলে বহু সময় লাগবে। একটি বৈরী পরিবেশে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি।

Spread the love

আর্কাইভ

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30