সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১
প্রতিনিধি/জুড়ীঃঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ‘জুড়ী নদী’র দুই পাশের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৮০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এতে প্রায় ১০ একর নদীর জায়গা উদ্ধার হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে দুই বছর থেকে শুরু হওয়া জুড়ী নদী পুন:খনন কাজ আটকে ছিল।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উৎপত্তি হয়ে ‘জুড়ী নদী’ ফুলতলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে হাকালুকি হাওরে গিয়ে মিশেছে। এটি এ উপজেলার প্রধান নদী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে যায়। এ ছাড়া নদীর দুপাশের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠে বিভিন্ন আবাসিক, বানিজ্যিক স্থাপনা।
অবহেলায় অনাধরে ধীরে ধীরে নদীটি সংকুচিত হয়ে পড়ে। নদীর প্রাণ ফেরাতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পাউবো প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ৮ দশমিক ৭০০ কিলোমিটার জায়গা পুনঃখননের কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের ৩১ মে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দেরি হওয়ার কারণে কাজের মেয়াদ চলতি বছরের (২০২১) নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পাউবোর পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয় এবং সেইসাথে দখলদারদের নোটিশ দিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়।সরেজমিন পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে উপজেলার উত্তর জাঙ্গিরাই এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে ডাকঘর এলাকায় এসে শেষ হয়।
পরদিন মঙ্গলবার সকালে কামিনীগঞ্জবাজারস্থ শিশুপার্ক চত্তর এলাকা থেকে শুরু করে ভবানীগঞ্জবাজার ও উত্তর ভবানীপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় কোথাও বুলডোজার আবার কোথাও হাতুড়ি দিয়ে পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়। উপজেলা প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ব্যবস্থাপনায় ও পাউবি মৌলভীবাজারের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) এর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতারুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমান, জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী প্রমুখ।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, নদীর দুই পাশের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা ৮০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দুইপাশের জায়গা সংস্কার করে দৃষ্টিনন্দন করা হবে।