সিলেট বিআরটিতে বছরে আয় ৩৬ কোটি

প্রকাশিত: ৮:৩২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০

সিলেট বিআরটিতে বছরে আয় ৩৬ কোটি

আহসান হাবীবঃঃ
সাম্প্রতিক সময়ে বিআরটিএ সিলেট সার্কেলে সেবা গ্রহীতাদের নানা প্রকার হয়রানী ও ভোগান্তি ঘটনা ঘটলেও বর্তমানে অফিসে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা। নিজস্ব ভূমি ও নিজস্ব ভবন না থাকা সত্বেও জেলা প্রশাসনের এনেক্স ভবনের অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়ে প্রতিদিন সীমিত জনবল নিয়ে চলছে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড। এক্ষেত্রে জনবলের ঘাটতি থাকলেও দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দিনের কাজ দিনেই শেষ করার প্রবণতার কারণে বিগত সময়ে সৃষ্ট অচলায়তন বর্তমানে আর নেই।

 

অথচ অত্র দপ্তর মোটর যানের তদারকির দায়িত্বে থাকলেও তাদের নেই নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। স্বল্প সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে চলছে হাজার হাজার যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম সহ অন্যান্য কার্যক্রম। উপরোন্ত বাড়তি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শিক্ষানবীশ লাইসেন্স প্রদান, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান,মোটরযানের ফিটনেস প্রদান ও নবায়ন। মোটরযানের রুট পারমিট প্রদান ও নবায়ন, ডিজিটাল নম্বর প্লেট বিতরণসহ আরো অনেক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পালনে অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও কিঞ্চিৎ ত্রুটি -বিচুতি হলেই অনিয়ম-ব্যর্থতার দায়ভার বর্ত্যায়। তারপরও থেমে না থেকে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি সংক্ষেপে বিআরটিএ সিলেট সার্কেল-এর সামগ্রিক কার্যক্রম। বিআরটিএ সিলেট সার্কেল ও যানবাহন লাইসেন্স, রুটপারমিট সহ যানবাহন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমে জড়িত একাধিক পরিবহন মালিক সুত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ সিলেট সার্কেলে অনুমোদিত জনবল ১৫ জন হলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ১১ জন।

 

অবশ্য এতে করে লোকবলে কিছুটা ঘাটতি সৃষ্টি হলেও কাজের ক্ষেত্রে গতিশীলতা হ্রাস পায়নি। বিআরটিএ সিলেট সার্কেল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সুষ্ঠ অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ২জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, ১ জন উচ্চমান সহকারী, ১ জন রেকর্ড কিপার পদে পদায়ন করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। শূন্য পদে লোকবল না থাকায় সীমিত জনবল দিয়েই পরিচালিত বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমের বাইরে আরো রয়েছে, সরকারী যানবাহন মেরামত ও অকেজো যানবাহনের প্রতিবেদন প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি কল্পে চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সড়ক দুর্ঘটন হ্রাসকল্পে সেমিনার, দুর্ঘটনা পরবর্তী প্রতিবেদন উপস্থাপন, জনসচেতনতা সৃষ্টিকল্পে লিফলেট ও বুুকলেট বিতরণ, সর্বপরি অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপসহ যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা। শুধু তাই নয় তীব্র জনবল সংকট ও নিজস্ব পরিবহন সংকট সত্ত্বেও সিলেট সার্কেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৯ জুলাই হতে ২০২০ জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান বাবদ বিআরটিএ সিলেট সার্কেল রাজস্ব আদায় করেছে ৩৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৫ হাজর ৩ শত ৬৪ টাকা। একই সঙ্গে উপরোক্ত সময়ে মোটর যানের রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে ৫০২৯ টি, মোটরযানের ফিটনেস প্রদান করা হয়েছে ১৩৪৮০ টি, মোটরযানের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে ৪০৬৪ টি, অনুরূপভাবে ১৭৩৮ পেশাজীবী গাড়ীচালককে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ৬৯৮৬ টি। আবার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ৩০৯৯৯ টি। বিআরটিএ’তে বিদ্যমান সমস্যা ও সামগ্রিক সফলতা সম্পর্কে সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোঃ সানা উল্লাহ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তাছাড়া নিজস্ব ভবন, পরিবহন সংকট তো রয়েছেই।

 

তা সত্বেও প্রতিনিয়ত জনগণের সেবায় আমরা একনিষ্ঠ ভাবে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছি। আর সে কারণেই সড়কে দুুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ২০১৯ জানুয়ারী হতে ২০২০ জানুয়ারী পর্যন্ত ১৭৩৮ পেশাজীবী মোটরযান চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিআরটিএ’তে আগত গ্রাহকরা যাতে হয়রানীর শিকার না হন কিংবা দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত না হন সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। একইভাবে গ্রাহক হয়রানী বন্ধে সহকারী পরিচালকের কক্ষে এসে সরাসরি সমস্যা বিষয়ে জানানোর জন্য অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এ বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Spread the love

আর্কাইভ

April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930