নতুন সাজে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন

প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০

নতুন সাজে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন
১৮৯ Views

লন্ডনবাংলা  ডেস্কঃঃ

প্রায় তিন যুগ পর ‘নতুন কোচে’ চড়বেন সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীরা। আগামীকাল (রবিবার) সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলরত পাহাড়িকা ও উদয়নের নতুন কোচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  নতুন ট্রেনের সময়সূচি হবে, উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ে রাত পৌনে ১০টায় এবং সিলেট পৌঁছে ভোর ৬টায়। আবার সিলেট থেকে পাহাড়িকা হয়ে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পাহাড়িকা চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশে সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে।

রেল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সালে পাহাড়িকা এবং ১৯৯৮ সালে উদয়ন ট্রেন চালু হয়েছিল। এই ট্রেনগুলো চালুর পর থেকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এবার এ রুটের যাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় নতুন ট্রেনে চলাচল করবেন। নতুন ট্রেন দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিনের দাবিও পূরণ হচ্ছে চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে চলাচলকারীদের।

লাল-সবুজের মোড়কে নতুন সাজে সাজছে রেলপথে চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি। নতুন এই দুটি ট্রেনেই ভ্রমণ করবেন ২ হাজার ৪৪৪ জন (যাওয়া-আসা)। প্রতিটি ট্রেনেই রয়েছে এসি-২টি, এসি স্লিপার-২টি, নন এসি-৭টি, পাওয়ার কার গার্ড রুমসহ নানাবিধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই নতুন কোচ সংযোজনের কারণে অনেকের ট্রেনে ভ্রমণের আস্থা বাড়বে বলে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান। আগামী ২৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলরত পাহাড়িকা ও উদয়নের নতুন কোচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ব্যাপারে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শামসুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে চট্টগ্রাম-সিলেটসহ আরও কয়েকটি রুটে নতুন ট্রেন উদ্বোধন করবেন। পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, উদ্বোধনী দিনে নতুন ট্রেন দুটির (উদয়ন ও পাহাড়িকা) সামনের অংশসহ বিভিন্ন স্থানে ফুল দিয়ে সাজানো হবে। ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি নতুন এই কোচগুলোর মধ্যে ঢাকা-জামালপুর রুটের ‘জামালপুর এক্সপ্রেস’ও রয়েছে। একই কথা বললেন পূর্বাঞ্চলের এডিশনাল জিএম সরদার শাহাদাত আলীও।

রেলওয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি থেকে উদয়ন ট্রেনে এসি বার্থ থাকবে ৩৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টি। অর্থাৎ এই ট্রেনে সর্বমোট টিকিট থাকবে ৫৯৬টি। অপর দিকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি সিট ৬৬টি, এসি চেয়ার ১১০টি, শোভন চেয়ার ৪৫০টিসহ সর্বমোট আসন থাকবে ৬২৬টি। কিন্তু বিপরিতমুখী অপর উদয়ন ও পাহাড়িকা ট্রেনের অধিকাংশই শোভন চেয়ার টিকিট হওয়ায় ২৬ জানুয়ারির পর থেকে নতুন ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

 

এলবিএন/২৫জ/র/০৩-০৫

Spread the love

Follow us

আর্কাইভ

March 2024
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031