সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২০
অন্তরা চক্রবর্তীঃঃ
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ওসমানীনগর উপজেলা শাখা উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে নবাগত শিক্ষকদের বরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার লাল কৈলাশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নবাগতদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন শিক্ষক নেতারা। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সূচনা পূর্ব শেষ করে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও ফুলেল শুভেচ্ছায় নবাগতদের বরণ করে নেন নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি উপজেলা শাখার সভাপতি প্রানেশ রঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছানাউল হক ছানি। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমিতির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মতি লাল দাশ গুপ্ত, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শিপন আহমদ।
বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক শাহানারা ইয়াসমিন বিনা, তরুন চন্দ্র দেব, বাবুল চন্দ্র দাশ, আব্দুর রব, সুবোধ চন্দ্র দেব নাথ, সুজিত কুমার দেব,সিনিয়র শিক্ষক শিল্পী দাম,সমিতির সিলেট জেলা শাখার উপদেষ্ঠা আজাদ মিয়া, উপজেলা শাখার সহসভাপতি মলয় দেব, সহসাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দাশ,অর্থ সম্পাদক কবির আহমদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হেপি রানী দাশ।
উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষক সাইফুর রহমান, সেলিম আহমদ,সুজিত গুন, মো: খলিল মিয়া, স্বপন আর্চায্য, সিতা রানী চৌধুরী ,মাজরুল ইসলাম, শেখর চন্দ্র দেব, মোহন লাল দেব, সিরিয়া বেগম, কলি রানী দে, নাদিরা সুলতানা, সেলিম আহমদ, জাহাঙ্গির আলম,নবাগত শিক্ষক জামিল আহমদ, সজিত সূত্র ধর, তাসক্রিরাতুল আম্বিয়া সাম্মি, ফাতেমা ইয়াসমিন সিমা, মল্লিকা দেব নাথ, বিথিকা চক্রবর্তী, মিজানুর রহমান, মো: বাহরাম খান, পিংকি দেব, মিতা দাশ, বিলাল আহমদ,শ্যামল সূত্র ধর, আম্বিয়া সুলতানা,তাপস দত্ত, সন্তোস ভট্টাচার্য্য, তানিয়া আক্তার ঝর্না, সৈয়দ অলিউর রহমান, মেজবাউর রহমানস কোরেশী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ প্রথম বারের মতো ওসমানীনগরে নবাগতদের বরনে বর্ণাঢ্য আয়োজন করার জন্য সমিতির নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে এধরনের অনুষ্ঠানে সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহব্বান জানান। অনুষ্টানে নবীনদের অভিনন্দন ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি নৈতিকতার দিকে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
নৈতিকতাবিবর্জিত জ্ঞান মানবজাতির জন্য কল্যাণকর নয়, বরং ক্ষতি সাধন করে। সমাজকে সাহায্য করতে সবাইকে যে প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা হতে হবে তা নয় বরং শিক্ষকরাই হচ্ছেন সুষ্ট সমাজ নির্মানের মূল চালিকা শক্তি। কমলমতি শিক্ষার্থীদের ভালোবেসে তাদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়া প্রত্যোক শিক্ষকের নৈতিক দ্বায়িত্ব। সেই গুরু দ্বায়িত্ব এখন আপনাদের কাঁধে। সে লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করার আহব্বান জানান শিক্ষক নেতারা।