সিলেট ২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করায় হলের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ইনামুল ইসলাম নোমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী। ইনামুলকে সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম অনিকের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মাইনুল ইসলাম অনিক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী এবং আসন্ন হল ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। ভুক্তভোগী ইনামুল ইসলাম নোমান বলেন, ‘হলে থাকার জন্য অনার্সের পুরো সময় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। এখন মাস্টার্সে উঠে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে না। পড়াশোনা, পরিবার ও চাকরি সবকিছুর চাপ বেড়েছে। কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় সিট বাতিল করে আমাকে গণরুমে ফ্লোরে দেওয়া হয়। আমি মাস্টার্সের ছাত্র হয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেমনে থাকি! অনেক চেষ্টা করেছি। তবে আর থাকতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে আজিমপুরে উঠেছি।’
ইনামুল আরও বলেন, ‘আমি অনিক ভাইকে অনুরোধ করি যাতে মাস্টার্স শেষ হওয়া পর্যন্ত সিট থেকে না সরান এবং সকল রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দেই। কিন্তু তিনি তার কথায় অটল থাকলেন। বললেন– সিট ছেড়ে ফ্লোরিং করতে এবং নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে। সন্তোষজনক হলে পরে বিবেচনা করবেন। উপায় না দেখে আজিমপুরে মেসে উঠেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘সিট বাতিল করার আগে আমাকে প্রোগ্রামের জন্য কল দিতেন এবং প্রোগ্রামে না আসলে সিট চলে যেতে পারে বলেও সতর্ক করতেন। মাস্টার্সের শুরুতে একবার গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে মাইনুল ইসলাম অনিকের বন্ধু তানজিল শরীফ বেশ কটু ভাষায় ভৎসনা করেছিলেন প্রোগ্রামে কেন যাই না সেজন্য। যদিও পরে তিনি আমার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তার এই আচরণের জন্য।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মাইনুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘সিট বাতিল করা হল প্রশাসনের দায়িত্ব, এটা আমার না। এ ব্যাপারে হল প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।
এই ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। মাত্র গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম। এবিষয়টি আমি দেখবো এবং অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিব। ছাত্রলীগে এ ধরনের সুযোগ নেই।’ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আকরাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি খোঁজ নিব।’ তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান।