সিলেট ১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশের ৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে ৮০৮জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়াও কেউ ফেল থেকে জিপিএ-৫, ফেল থেকে পাস এবং বিভিন্ন স্তরে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে। কেউ আবার আবেদন করে পাস থেকে ফেল হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশের এসব পরিবর্তনের মধ্যে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের খাতায় সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন হয়েছে।
এদিকে, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণে সিলেটে ‘ভাগ্য পরিবর্তন’ হয়ে হাসলেন ৫৩ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস হয়েছেন ২৩ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন আরও ৩০ জন।
জানা গেছে, সিলেট বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়া ১৬৫ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৩ শিক্ষার্থী। আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে সারাদেশে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ জন শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে আবেদন করে। এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের জন্য মোট ৪ লাখ ৮১ হাজার ২২২ টি বিষয়ের ফলাফলে আপত্তি তোলা হয়।
তার মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০টি, বরিশালে ২৩ হাজার ৮৫০টি, চট্টগ্রামে ৫২ হাজার ২৪৬টি, দিনাজপুরে ৪০ হাজার ৭৫টি, রাজশাহীতে ৪৪ হাজার ৬১টি, সিলেটে ২৩ হাজার ৭৯০টি, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩টি, ময়মনসিংহে ৩১ হাজার ৩৩১টি, মাদরাসা বোর্ডে ২৮ হাজার ৪৮৪ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৭ হাজার ৫৩৮টি বিষয়ে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন জমা পড়েছিল।
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে আবেদনের সংখ্যা ছিল সব চাইতে বেশি। এ বোর্ডে ৫৯ হাজার ৭৯০ জন আবেদনকারী বিভিন্ন বিষয়ের ফলে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করে। সবগুলো বোর্ডে ৫ হাজার ১৮৯ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে ৮০৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এর আগে গত ৩১ মে প্রকাশিত হয় ২০২০ সালেলর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবার গড় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিলো ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, যা গত বছর পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। পরীক্ষার ফলে আপত্তি থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য গত ১ জুন শুরু হয়ে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন নেওয়া ৭ জুন শেষ হয়।