এঘটনায় বুধবার বিকেলে দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বিদ্যালয় গভর্নিংবডির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ। এদিকে আসমার মৃত্যু নিয়ে তার স্বামী ও গভর্নিং বডির সভাপতির পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
আসমার স্বামী ফজলু মিয়ার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিন ও কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ওই বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসাব দিতে চাপ সৃষ্টি করায় অপমানে আসমা হারপিক খেয়েছেন। অন্যদিকে, গভর্নিং বডির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ বলেছেন,পারিবারিক বিরোধের জেরে আসমা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তার দেবর দৌলতপুর ইউনিয়নের মেম্বার শাহীন আহমদ বছরখানেক আগে আসমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
পরবর্তিতে তিনি স্কুলের উল্টো পাশে একটি বাসায় ভাড়ায় উঠেন। শাহীন আহমদ মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন, তার ভাই কিংবা ভাবির সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই,এমনিক বাড়ি থেকেও বের করে দেননি। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রতিষ্ঠানটির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্ধ রয়েছে। এরই জেরে সম্প্রতি সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদদ্ধা আব্দস শহীদকে বাদ দিয়ে আব্দুর রউফকে সভাপতি করে গত ৬জুন ১০সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের নব-গঠিত কমিটির সভাপতি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন- স্কুলের হিসাবের জন্য একজন কর্মচারীকে চাপ সৃষ্টি করা যায়না। তবে পুরাতন কমিটির কাছ থেকে নতুন কমিটির কাছে এখনও নো হিসাব দেয়া হয়নি। এনিয়ে গত সোমবার (শিমলা) হারপিক খাওয়ার ঘটনার দিন স্কুলে একটি মিটিং করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির সদস্য একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।