আওয়ামী নেতা কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত ১৩ আসামি ডিবির হাতে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২০

প্রতিনিধি/নবীগঞ্জঃঃ
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৭নং বড়ইউরি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা কামাল হত্যার আসামিদেরকে হবিগঞ্জ জেলা ডিবির সাব ইনিসপেক্টর আজাদ আবুল কালামের নেতৃত্বে গত (৪ আগস্ট) হবিগঞ্জ শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে দুপুর অনুমান ২টা ৩০মিনিটের সময় ১৩জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের হবিগঞ্জ ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ডিবির হাতে গ্রেফতার কামাল হত্যার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, মৃৃত ঐ এলাকার এক নামে পরিচিত (রাজাকার) মৃত উসমান উল্লার পুত্র মোঃ ফরিদ মিয়া (৩৬), ফজলু মিয়া(৫৫), মোঃ কালা মিয়া(৫৩) মোঃ মুকিত মিয়া (৫১), ফজলু মিয়ার পুুু্ত্র মোঃ জুনেদ মিয়া (২৮) ফজলু মিয়ার পুত্র মোঃ নাঈম মিয়া (২২), মোঃ রুমেল মিয়া (২৫), তনু মিয়ার পুুুত্র মোঃ এবাদুর মিয়া (৩০,) জহুর মিয়ার পুত্র মোঃ জুয়েল মিয়া (৩৮), সামছু মিয়ার পুুত্র মোঃ সুজন মিয়া (৪০), মোঃ রাহেল মিয়া (২৫), মোঃ রুহেল মিয়া (২৮) মোঃ নুরুল ইসলাম (৫০) আব্দুল ওয়াহিদ।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, এর কিছুদিন পূূর্বে কামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি হাবিব চেয়ারম্যানের বিশ্বস্ত ক্যাডার সাইফুলকে দিনারপুর মোড়াগাও থেকে ঈদের দিন বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের সময় নবিগঞ্জ থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ ডিবির পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পরে গত (১লা আগস্ট) তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজেস্টেট আদালত (৫) এ তুললে জুডিশিয়াল ম্যাজেস্টেট তৌহিদুল ইসলাম এর কাছে ১৬৪ ধারায় কামাল হত্যার সাথে সরাসরি জরিত থাকার স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দিতে সেবলে, কামালকে হত্যা করার এক সপ্তাহ আগে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে  কামাল হত্যার পরিকল্পনার গোপন বৈঠক করা হয়। কামাল হত্যার পরিকল্পনাদাতা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এবং ঐ গোপন বৈঠকে আমি আবিদ, ফরিদ ফারুক, সাইফুল, জুনেদ, মুকিত সহ আরও অনেকেই ছিলেম। সে তার জবানবন্দিতে বারবারই চেয়ারম্যান হাবিবের নাম উল্লেখ করে বলে, গত ২২জুলাই বুধবার তাদের পার্শবর্তি গ্রামর একজন বৃদ্ধা মারা যানা। এতে কামাল জানাযার নামাজ পড়ে বিকাল সাড়ে ৫টায় বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় উল্লেখিত আসামিদ্বয় শিবগঞ্জ বাজারের পূর্বপাশে ডাঃ আব্দুল খালিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে আওয়ামীলীগ নেতা কামালকে দুইটি অটোরিক্সা দিয়ে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দা রামদা নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা করে কুপাতে থাকে। ঘাতরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কামালের স্বজনরা মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে দেখে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ইমার্জেন্সীতে ভর্তি করেন রাত সাড়ে ১১টার দিকে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নির্মম ঘটনায় প্রভাবশালী ক্ষমতার অপব্যাবহারকারী হত্যা প্রধান নায়ক চেয়ারম্যান হাবিব সহ অপরাপর আসামীদের ধরতে আজ নিহত কামালের এলাকার লোকজন এক আলোচনা ও প্রতিবাদের আয়োজন করেছেন। কামাল হত্যা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এখনও কি ভাবে কার ইন্দনে চেয়ারম্যান হাবিবকে প্রশাসন ধরছে না?
Spread the love