সিলেট ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ, দেবী ভাগবত পুরানে মনসা দেবীর লীলা ও ঘটনার কথা লেখা রয়েছে । মহাভারতেও কিছুটা অংশে রয়েছে মনসা দেবীর প্রসঙ্গ৷ মঙ্গল কাব্য মতে দেবী মনসা হলেন শিবের মানস কন্যা । তিনি আবার নাগরাজ বাসুকীর ভগিনী।
পদ্ম পাতায় দেবীর জন্ম বলে তাঁর আর এক নাম পদ্মাবতী । দেবী ভাগবত পুরানে আবার মনসাকে কশ্যপ মুনির কন্যা বলা হয়েছে । মহাভারত বলে মনসা দেবী বিবাহিতা । তাঁর পতির নাম জগৎকারু । তাঁদের একটি পুত্র সন্তান হয়, তাঁর নাম আস্তিক । শিব মনসাকে কৈলাসে নিয়ে এলে দেবী পার্বতী রাগে তাঁর এক চোখ নষ্ট করে দেন ৷ সেই থেকে মনসা দেবী কানা ৷ এই মনসা দেবী আবার সর্পরাজ্যের রানি ৷ সাপদের দেবী তিনি ৷
মনসা কথার উৎপত্তি ‘মানস’ শব্দ থেকে ৷ অর্থাৎ তিনি মনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ৷ আগামী কাল সেই মনসা দেবীর পুজো ৷ নাগকূলকে তুষ্ট রাখতেই প্রাচীনকালে মনসার পুজো করতেন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষরা ৷
এক ঝলকে দেখে নিন মনসা পুজোর পদ্ধতি— অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রতিমায় মনসা পূজা করা হয় না। মনসা পূজিতা হন স্নুহী বা সীজ বৃক্ষের ডালে অথবা বিশেষভাবে সর্পচিত্রিত ঘট বা ঝাঁপিতে। যদিও কোথাও কোথাও মনসা মূর্তিরও পূজা হয়। বিশেষ করে বাংলার গ্রামে গ্রামে মনসা পূজা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলে মনসার মন্দিরও দেখা যায়।
বর্ষাকালে সাপেদের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে বলে এই সময়ই মনসা পূজা প্রচলিত। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমীতেও মনসার পূজা করা হয়। বাঙালি মেয়েরা এই দিন উপবাস ব্রত করে সাপের গর্তে দুধ ঢালেন। দেবী মনসার মন্ত্র— দেবীমম্বামহীনাং শশধরবদনাং চারুকান্তিং বদন্যাম্ ।
হংসারূঢ়মুদারামসুললিতবসনাং সর্বদাং সর্বদৈব ।। স্মেরাস্যাং মণ্ডিতাঙ্গীং কনকমণিগণৈর্মুক্তয়া চ । প্রবালৈর্বন্দেহ হং সাষ্টনাগামুরুকু চগলাং ভোগিনীং কামরূপাম্। এর অর্থ হল— সর্প দিগের মাতা, চন্দ্র বদনা, সুন্দর কান্তি বিশিষ্টা, বদন্যা, হংস বাহিনী, উদার স্বভাবা, লোহিত বসনা, সর্বদা সর্ব অভিষ্ট প্রদায়িনী, সহাস্য বদনা, কণকমনি মুক্তা প্রবালাদির অলঙ্কার ধারিনী, অষ্ট নাগ পরিবৃতা, উন্নত কুচ যুগল সম্পন্না, সর্পিণী, ইচ্ছা মাত্র রূপধারিনী দেবীকে বন্দনা করি ।