সিলেট ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ::
সিলেটের বিশ্বনাথে চিকিৎসার নামে ঝাড়-ফুঁকের কথা বলে এক তরুণীকে (১৯) প্রায় দেড়বছর ধরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কমরুদ্দিন (৫০) নামে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে।
বিশ্বনাথ পুরান বাজার (শরীষপুর) এলাকার আছদ্দর ম্যানশনে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে সিফা তদবিরালয় খুলে রমরমা কবিরাজি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল কমরুদ্দিন। বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ওই নির্যাতিতা তরুণীর মা। উপজেলার নরসিংপুর গ্রামে বসবাসকারী নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার বড়কুট গ্রামের দিনমজুর সাদেক মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম অবিযোগ দায়ের করলে রাতেই তালাবন্দী সিফা তদবিরালয় থেকে তরুণীকে উদ্ধার ও কবিরাজের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
এরপর মধ্যরাতে আটক করা হয় কবিরাজ কমরুদ্দিনকে। পরে তরুণীর মায়ের দায়ের করা অভিযোগ মামলা (নং-৪/০৭.০২.২০২০) হিসেবে রেকর্ড করে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তরুণীর মা হালিমা বেগম বলেন, প্রায় দেড়বছর পূর্বে আমার বড় মেয়েকে নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাকে নিয়ে কবিরাজ কমরুদ্দিনের শরণাপন্ন হই। চিকিৎসার প্রয়োজনে আমার মেয়েকে তার কাছে রেখে যেতে এবং নগদ ১০হাজার টাকা দিতে বলে সে। আমি কথামত টাকা পরিশোধ করে মেয়েকে তার কাছে রেখে আসি।
পরবর্তীতে মেয়েকে আনার জন্যে সিফা তদবিরালয়ে যাওয়ার পরই ঘটে বিপত্তি। সে মেয়েকে আমার কাছে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। নানা হুমকি-ধামকী ও ভয়-ভীতি দেখায়। এভাবে প্রায় দেড়বছর ধরেই সিফা তদবিরালয়ে মধ্যে তালাবন্দী করে আটকে রাখে আমার মেয়েকে। আমি তার ভয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস পাইনি।