সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
জয়নাল আবেদীন,মৌলভীবাজারঃঃ
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের ৩জনের মধ্যে দুইজনের লাশ সরকারের সহযোগিতায় ৭ দিনের মধ্যে মৌরভীবাজারের তাদের নিজের বাড়িতে পৌছিছে। নিহত দুই জনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়ন। লাশ দেখার জন্য নিহত দুইজনের আত্মীয় স্বজনসহ এলাকার লোকজন বাড়ীতে ভিড় জমাচ্ছেন। দাফন কাপনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা করে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েচেন স্বজনরা
রবিবার দুপুরে শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের নিহত সবুর মিয়ার লাশ আসার পর ঐদিন সন্ধায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাপন সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিকে ঐদিন রাত সাড়ে ৯টায় হাজিপুর ইউনিয়নের বিলেরপার গ্রামের নিহত লিয়াকত আলীর লাশ বাড়ীতে পৌচার পর সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ ঘটিকায় জানাযার নামাজ শেষে কছমুলীপার কবরস্থানে দাপন সম্পন্ন করা হয়েছে।
সরজমিন গেলে জানা যায়, ২ ফেব্রুয়ারী বিকালে ওমানের আদম এলাকায় এক মর্মান্তি সড়ক দূর্ঘটনায় বাংলাদেশী ৫ জন নিহতের ঘটনায় মৌলভীবাজারের ৩ জন নিহত হন। ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও আত্মীয়দের সহযোগিতায় তাদের বাড়িতে লাশ এসে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সূত্রপাত সৃষ্টি হয়। নিহত লিয়াকত ও সবুরের বাড়িতে স্বজনদের কান্নায় নিহতদের বাড়ী ভারী হয়ে উঠেছে। বাংলদেশ সরকার দাপন কাপনের জন্য প্রতিজনকে ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু ওমানের সরকার এখনও কোন সহযোগিতা করেনি।
পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী জানান, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় লোশগুলো দেশের আনা হয়েছে। পিতাকে হারিয়ে ছেলে মেয়ে ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন স্ত্রীরা। চলছে শাকের মাতম।
নিহতরা হলেন, কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সবুর আলী (৩৩) ও হাজীপুর ইউনিয়নের বিলের পার গ্রামের লিয়াকত আলী (৩৫)। নিহতের লাশ বাড়ীতে আসার পর থেকে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।
লিয়াকত আলীর চাচা বিজিবির (অব:) মাসুদুর রহমান জানান, লাশ দেশে আনতে সরকার যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ সরকার দাপন-কাপন করার জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে তার পরিবারকে। তার স্ত্রী ও ৯ বছর বয়সের এক সন্তান রয়েছে। সরকার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে কমলগঞ্জ উপজেলার আলনিগর ইউনিয়নের চিৎলিয়া বাজার টিলা এলাকার আলম হোসেন ওমানে অবৈধ ভাবে বসবাস করায় লাশ দেশে পৌছায়নি প্রায় ১০/১২দিন লাগার সম্ভবনা রয়েছে। এতে শঙ্কায় রয়েছেন হত দরিদ্র পরিবারটি।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, মৌলভীবাজারের নিহত ৩জনের মধ্যে ২জনের লাশ বাড়ীতে আসার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাজীপুর ও শরীপুরের দুই নিহতের পরিবার খুবই অসহায়। সে জন্য সরকারীভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।