কমলগঞ্জে অপরিকল্পিত ভাবে বসানো পিলার! এখন মৃত্যুর কোপ

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০

কমলগঞ্জে অপরিকল্পিত ভাবে বসানো পিলার! এখন মৃত্যুর কোপ

 

সালাহ্উদ্দিন শুভ/কমলগঞ্জঃঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ভায়া শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরের বিভিন্ন আঁকাবাঁকা মোড়ে অপরিকল্পিত ভাবে সড়কের ইউ ড্রেনের উপর বসানো পিলারের কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে আশংকা করছেন সড়কে যাতায়াতকারী ছোট বড় যানবাহনের চালকসহ যাত্রীরা।

 

লাউয়াছড়া বনের ভেতরের সড়ক দিয়ে ব্রাহ্মণবাজার ভায়া শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব কম হওয়ায়, কমলগঞ্জসহ কুলাউড়া ও এর আশপাশের কর্মজীবী,ব্যবসায়ী এবং সাধারণ যাত্রীরা এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন। এছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেইক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতি সৌধ, হামহাম জল প্রপাতসহ নান্দনিক দর্শনীয় স্থান হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা বড় বড় গাড়ী নিয়ে এই সড়ক দিয়ে ঘুরতে আসেন। তাছাড়া চাতলাপুর স্থল বন্দর থাকায়, প্রতিদিন এই সড়কে শত শত বড় বড় ট্রাক সিমেন্ট, ফলসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি ও রফতানি হয় এই সড়ক দিয়েই। বর্তমানে এই সড়ক একটি ব্যস্ততম সড়কে পরিনত হয়েছে।

 

সম্প্রতি শমশেরনগর এয়ারর্পোট এলাকা থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ কিঃমিঃ সড়কের পুনঃসংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ করা শেষ হলেও, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় আঁকাবাঁকা মোড়েগুলো সম্প্রসারন না করায়, প্রায় প্রতিনিয়ত এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ীগুলো বিভিন্ন মোড়ে বিপরীত থেকে আসা গাড়ীর মুখোমুখি হতে হয়। এতে একে অপরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রায়ই র্দূঘটনা ঘটছে।

 

এর মধ্যে আবার অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন মোড়ে পিলার বসানোর কারণে হয়েছে। এই পিলার গুলো এখন মরার উপর খাঁড়ার গাঁ হিসাবে আভিরভূত হয়েছে।

 

এদিকে আকাঁ বাঁকা মোড়গুলোতে অপরিকল্পিত পিলার বসানোর কারণে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংকীর্ন হওয়ায় একটি গাড়ি অপর গাড়িটিকে ঠিকভাবে পাস দিতে না পারায়, যে কোন সময় বড়ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আংশকা দেখা দিয়েছে।

 

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরের সড়কের মোড়গুলো প্রশস্তকরণ ও অপরিকল্পিত ভাবে পিলার বসানো এবং বিপদজনক স্থানে গাইড ওয়াল না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান জানান, মোড়গুলো প্রশস্তকরণ ও বিপদজনক স্থানে গাইড তুলতে গ্যাসলাইন ও বনবিভাগ বাধা দেয়ায় তা বড় করা সম্ভব হয়নি।

 

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মোড়ে আপ ডাউন থাকায় পানি নিঃস্কাশনের জন্য ড্রেন গভীর করায় পিলার দেয়া হয়েছে যাতে কোন গাড়ীর চাকা ড্রেনে পড়ে কোন র্দূঘটনা না ঘটে।

 

লাউয়াছড়া বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আমরা কাউকে লাউয়াছড়ার ভেতরের আঁকাবাঁকা মোড় বড় করার কাজে বাধা দেইনি, তাদেরকে লাউয়াছড়া মেইন গেটের সামনে পাহাড় কাটতে নিষেধ করা হয়েছিলো। তিনি আরো জানান, বাঘমারা ক্যাম্প, লাউয়াছড়া মেইন গেইট ও জানকিছড়া এলাকায় আমাদের বন্যপ্রাণী অবাদ বিচরনে বাধাগ্রস্ত সহ তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে ,তাই তাদেরকে এই তিনটি স্থানে স্প্রীটবেকার বসানোর অনুরোধ করলেও তারা অনুরোধ না শুনায় আমাদের বনকর্মিদের সাথে বাকবিন্ডতা দেখা দেয়। বিষয়টি তৎক্ষনাত শেষ করে দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের সড়কের বিপদজনক স্থান গুলোতে গাইড ওয়ালের কথা বলার পরও,তারা অপ্রয়োজনীয় স্থানে গাইড ওয়াল করেছে।

Spread the love

আর্কাইভ

October 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031