লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল চলতি বছরে ২,২০০টিরও বেশি বৃক্ষ রোপন করে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। এ নিয়ে গত দুই বছরে ৫ হাজারেরও বেশি গাছের চারা রোপন করেছে কাউন্সিল।অক্টোবর থেকে এপ্রিল-গাছের চারা রোপনের এই মৌসুমে বারার বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার ২১৭টি বৃক্ষ ও চারা রোপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলো কাউন্সিল। এর মধ্যে রয়েছে ৬৯০ টি বড় আকারের গাছ এবং ১ হাজার ৫১৭টি ছোট আকারের গাছের চারা।
মেয়র জন বিগস বলেন, সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বারা গড়ে তোলার ব্যাপারে আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ। লন্ডনের মধ্যবর্তি একটি বারা হওয়া সত্বেও আমাদের রয়েছে অসাধারণ কিছু সবুজ স্থান। এখন আমরা রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি। আমাদের আবাসিক এলাকার সামগ্রিক পরিবেশ আরো উন্নত করতে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এক হাজার গাছ লাগানোর অঙ্গিকার আমি করেছিলাম।
আগামী দুই রোপন মওসুমে কমপক্ষে ৭০০ গাছ লাগানো হবে। এর মধ্যে ২০২০/২১ সালে বেথনাল গ্রীণ ও ওয়াপিংয়ে লাগানো হবে ৩৫০টি গাছ এবং ২০২১/২২ সালে বাকি ৩৫০টি গাছ লাগানো হবে স্টেপনী ও আইল অব ডগস এলাকায়।এবারের বৃক্ষ রোপন মওসুমে বো এবং পপলার এলাকায় ৩৫০টি গাছ লাগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রাস্তার পাশে ১০০টি বৃক্ষ রোপন করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে বো এলাকার শেটল্যান্ড রোডে বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম দেখতে গিয়েছিলেন কাউন্সিলের ডেপুটি মেয়র এবং কেবিনেট মেম্বার ফর প্ল্যানিং, এয়ার কোয়ালিটি এন্ড টেকলিং পোভার্টি, কাউন্সিলর রাচেল ব্লেইক। এসময় তিনিও একটি চারা রোপন করেন।
কাউন্সিলর ব্লেইক বলেন, বো এলাকায় আমাদের বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম দেখে আমি আনন্দিত। বৃক্ষ রোপনে আমাদের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে আমাদের অফিসাররা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বৃক্ষ রোপনের ফলে বায়ুর মান দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
এই বৃক্ষ রোপন প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় বর্তমানে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন পাউন্ডে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে কাউন্সিল সাফল্যের সাথে আবেদন করে মেয়র অব লন্ডন এর আরবান ট্রি চ্যালেঞ্জ ফান্ড থেকে ৩১৬,৭৭৯ পাউন্ডের তহবিল পেয়েছে, যা দিয়ে ৫৫৭টিরও বেশি বৃক্ষ ক্রয়, রোপন ও পরিচর্যা করা হবে।
রাজধানী লন্ডনের গাছগুলো লন্ডনবাসিদের জন্য প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩৩ মিলিয়ন পাউন্ডের সুফল বয়ে আনে বলে অনুমান করা হয়। এই গাছগুলো বছরে ২,২৪১ টন দূষণ সরিয়ে বায়ুর মান উন্নত করতে সহায়তা করে থাকে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ব্যাপারে মন্তব্যকালে বলেন, গাছ লাগানোর মতো সহজ পদক্ষেপ জলবায়ু ও পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় আমাদের সহায়তা করে।