দোয়ারাবাজারে দুই বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২০

দোয়ারাবাজারে দুই বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্ধের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিনিধি/দোয়ারাবাজারঃঃ

দোয়ারাবাজারের বরকতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ডে (স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট-প্ল্যান) ৭০ হাজার টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। ব্যয় বিবরণীতে দেখা গেছে, বৃক্ষরোপন বাবদ পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অথচ স্কুলটির সামনে রয়েছে একটি গাছের চারা।

বায়োমেট্রিক হাজিরা ১০হাজার বিল দেখানো হয়েছে অতচ বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ নেই, বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয় না করেই বিল জমা দেওয়া হয়েছে।শহীদ মিনার তৈরীতে ২৫ হাজার টাকা বিল দেখানো হয়েছে ব্যয় অনেক বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ক্ষুদ্র মেরামত কাজে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য ৭ হাজার টাকায় টিন ও মেরামত করা হয়েছে ।প্রাক-প্রাথমিকের বরাদ্ধ ১০ হাজার টাকা,ওয়াশ ব্লকে বরাদ্ধ ১০ হাজার টাকা হলেও খরচের সঠিক তথ্য দিতে পারেনি প্রধান শিক্ষিকা রাহেনা বেগম।

জিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমাদেওয়া বিল ভাউচারের সাথে কাজের কোন মিল নেই। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো অনেক অভিযোগ।

প্রধান শিক্ষক মোঃরিয়াজ উদ্দিন সন্তাষজনক জবাব দিতে পারেনি।প্রতিবছর প্রায় একই উপকরণ দেখিয়ে অথবা নিজেদের তৈরি একটু ভিন্ন ধরনের ক্রয় ভাউচার দেখিয়ে বরকত নগর ও জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে স্লিপ ফান্ডসহ অন্যান্য ফান্ডের টাকা আত্মসাতের মহোৎসব।

চলতি অর্থবছরসহ গত দুই-তিন বছরের পিইডিপি-৩ এর আওতার স্লিপ ফান্ডের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, তারা প্রতি বছরই বিদ্যালয়ের চাহিদা মতো বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করেন তারা এবং আগের উপকরণ নষ্ট হলে পরিত্যক্ত করা হয়। কিন্তু বাস্তবে স্কুলে পাওয়া যায়নি পরিত্যক্ত উপকরণগুলো।কথায় আছে ‘কাজির গরু হিসাবে আছে, গোয়ালে নেই’।

দোয়ারাবাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসার পঞ্চানন কুমার সানা বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই খতিয়ে দেখবো।

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30