প্রতিনিধি/বিশ্বনাথঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে একটি কলেজের অধ্যাক্ষের দূর্নীতির প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন অনিয়ম ও দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার (২রা মার্চ) সকালেউপজেলার উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে কলেজ গভনিং বডির সদস্য তজম্মুল আলী ও আবদুল মুকিত সুমন কলেজ যা এবং শিক্ষর্থিীদের শান্ত হতে বলেন। এসময় গভনিং বডির সদস্যদের আশ্বাসে ও হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে সোমবার কলেজে কোন প্রকার পাঠদান হয়নি বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, ‘শিক্ষক না থাকায় ডিগ্রির অনুমতি পাওয়ার পর থেকে হচ্ছে না ডিগ্রির ২য়-৩য় বর্ষের ক্লাস, এইচএসসির শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ডিগ্রির ১ম বর্ষের ক্লাস, বেতন-সেশন ফি গ্রহনের পর শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না টাকা আদায়ের রশিদ, ব্যবহারিক পরীক্ষায় আইসিটির শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের হয়রাণী করা, অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্তে কলেজের হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক খয়ের আহমদের স্ত্রী শাম্মী আক্তারকে লাইব্রেরীয়ান পদে, নিজের (অধ্যক্ষ) শালা ফয়েজ আহমদকে কম্পিউটার অপারেটর পদে ও মামাত ভাই রুবেল আহমদকে পিয়ন পদে গোপনে নিয়োগ দেওয়া, কলেজে কোন অডিট-আর্থিক-ক্রয় ও বিক্রয়-ভর্তি-ফরম পূরণ কমিটি না থাকা’র প্রতিবাদে সোমবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের তালা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবী করে উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য আবদুল মুকিত সুমন বলেন, বিভিন্ন দাবীতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ছিলো। এলাকার মুরব্বীদের নিয়ে সাথে নিয়ে আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।
শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদানে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বেতন-সেশন ফি গ্রহনের পর শিক্ষার্থীদেরকে টাকা আদায়ের পর রশিদ দেওয়া হয়। আত্নীয়তা নয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর নিয়ামানুযায়ী কলেজে যতগুলো কমিটি থাকার কথা এর সবগুলোই রয়েছে।