সিলেট ২৫শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২২
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
ব্রিটেনে ক্রমশ বাড়ছে অ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের সংখ্যা । তবে আশার কথা হচ্ছে গত ৩০ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যাসাইলাম আবেদন গ্রহন করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে।
যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, বেক্সিটের পর ২০২২ সালে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে দেশটিতে ৯ হাজার ৩২৭ জন মানুষ যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন। যার মধ্যে তিন ভাগের ১ ভাগের অ্যাসাইলাম আবেদন এরই মধ্যে গ্রহন করেছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস।
হোম অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটিতে ২০২২ সালের অ্যাসাইলাম আবেদন গ্রহনের সংখ্যা চলতি বছর অনেক গুন বেড়েছে। তবে সব কিছু বিবেচনা করে সরকার আবেদন গুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও ইতিবাচক দিচ্ছেন।
তবে যারা ইউরোপের দেশ গুলো থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফলাফল পাচ্ছেন না অ্যাসাইলাম আবেদনকারীরা। বলা হচ্ছে ২০২২ সালে ১৯৯০ সালের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের অ্যাসাইলাম আবেদন গ্রহন করা হয়েছে। এই সময় ৮২ শতাংশ মানুষের আবেদন গ্রহন করেছে হোম অফিস।
তবে হোম অফিস বলছে, চলতি বছর দেশটিতে বৈধভাবে যে হারে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তার থেকে অ্যাসাইলাম আবেদন বেশি গ্রহন করা হয়েছে। আর এই আবেদন গ্রহনকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ সিরিয়ান, ৯৭ শতাংশ এরিত্রা, ৯৫ শতাংশ সুদান, ৯১ শতাংশ আফগান এবং ৮৮ শতাংশ ইরানীয় মানুষ।
এদিকে, ২০০৩ সালের পর দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ অ্যাসাইলাম আবেদন করেছে যুক্তরাজ্যে। ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অ্যাসাইলাম আবেদন করেছে ৫৫ হাজার ১৪৬ জন। যা আগের বছরেরর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৭ হাজার বেশি।
অন্যদিকে, সরকার ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারীদের অ্যাসাইলাম আবেদন নিয়ে কাজ করলেও দেশটিতে বর্তমানে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ অ্যাসাইলাম আবেদন করে হোম অফিসের ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।
যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেরশন অবজারভার ড. পিটার জানান, সরকার কেস গুলো একটি একটি করে দেখছেন। তবে এখন যারা অপেক্ষামান রয়েছে তাদের আবেদনের সমাধান হতে আরও সময় লাগবে। যার কারনে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে লাখের বেশি মানুষ।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের মাইগ্রেশন নিয়ে কাজ করা চ্যরিটিগুলো বলছে, সরকার অ্যাসাইলাম আবেদনকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই সরকার দ্রুত কিছু মানুষের আবেদন গ্রহন করছে। তবে তারা যে অমানবিক ভাবে আবেদনকারীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়েছে সে ব্যপারে তারা কিন্তু এখনও কোন কিছু স্পষ্ট করে জানায় নি।