সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
তুরস্কে শুক্রবারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও এক হাজার ২৪৩ জন। ২৬ জানুয়ারি রবিবার রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতাই। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে ১৫ সেকেন্ডের এ কম্পন অনুভূত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় আফটার শক ঘটেছে। রিখটার স্কেলে এগুলোর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত। কম্পনটি প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া ও জর্জিয়াতেও অনুভূত হয়।
ইলাজিগে ইতোমধ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কচা এবং পরিবেশ ও নগরায়ন মন্ত্রী মুরাত কুরুম। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের বাড়ির ভাড়া বাবদ ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এই কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে শুরু করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, আরব ও ইউরেশীয় প্লেটের ওপর অবস্থিত তুরস্ককে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ আগস্ট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হেনেছিল। এর তিন মাসের মাথায় ১৯৯৯ সালের ১২ নভেম্বর ডিজসে প্রদেশে ৭ মাত্রার আরেকটি কম্পন আঘাত হানে। এতে ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ।