সিলেট ২০শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫
লন্ডন বাংলা ডেস্ক ::
তারা তিনজনই সিলেটের জন্য নতুন। তবে তিনজনই সিলেটবাসীর ভাগ্যের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। নতুন হলেও তাদের কর্মতৎপরতা এখন পর্যন্ত বেশ আশাব্যাঞ্জক। বেশ প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন তারা। এবার সিলেটের রাজপথে একসাথেই দেখা গেল তিনজনকে।
তারা হলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার আলম, সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তারা একসাথে সিলেটের জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট পর্যন্ত রাজপথ ও ফুটপাত পরিদর্শন করেন। পরে তারা গণমাধ্যমের সাথেও কথা বলেন।
সিলেট নগরীর রাজপথ থেকে হকারদের উচ্ছেদ এবং ফুটপাত ও রাজপথ দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান পরবর্তী তাদের এই পরিদর্শন।
পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম বলেন, হকাররা আজ ফুটপাথ বা রাজপথে বসেননি। আমাদের নির্দেশনা তারা মেনেছেন সেজন্য তাদের ধন্যবাদ। তাদের জন্য লালদিঘীরপার অস্থায়ী হকার্স মার্কেট প্রস্তুত করায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনকেও ধন্যবাদ। পুলিশ প্রশাসন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফুটপাত মুক্ত করার অভিযানে অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি তাদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়ে নগরবাসীকে কেনাকাটার জন্য লালদিঘীরপার মার্কেটে যাওয়ার আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের সঙ্গ কথা বলেন আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম ও। তিনি বলেন, হকারদের উচ্ছেদের পর আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা লেগুনার দখলে রাজপথ ফুটপাত চলে যেতে দেওয়া হবেনা। অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ বা গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়গুলো আমাদের নজরে আছে। হুট করেতো পরিবর্তন করা যাবেনা।
তিনি বলেন, মার্কেট বিপনীবিতাগুলো তৈরির সময় পার্কিংয়ের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হলে আজ এই অবস্থা হতোনা। গাড়ি রাখার জায়গা নেই। তবে আমরা সবাই যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই তাহলে আমরা এই শহরবাসী অনেক শান্তি আর স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবো