সিলেট ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ছয় দিনে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার এক বৃদ্ধ ও এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। আজ বুধবার দুজনের জানাজাতেই এলাকার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে আব্দুল বারেক (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। পরিবারের লোকজন প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ালেও সেরে ওঠেননি। এ অবস্থায় গতকাল রাত ৯টার দিকে নিজ বাড়িতেই মারা যান।
অন্যদিকে একই দিন বিকেলে মারা যান উচাখিলা ইউনিয়নের গোল্লা জয়পুর গ্রামে বোনের বাড়িতে থাকা মো. হোসেন আলী (২০) নামে এক কলেজছাত্র। তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জল্লি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। গত চার দিন আগে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে ঢাকা থেকে বোনের বাড়িতে চলে যান তিনি। সেখানেই গতকাল বিকেলে মারা যান। পরে রাতে তড়িঘড়ি করে লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
জানা যায়, মারা যাওয়া কলেজছাত্র হোসেনের ভাগ্নি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় তার অবস্থা খারাপ দেখে আজ বুধবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা যান। একই দিন সন্ধ্যায় মারা যান মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীরভুলসোমা গ্রামের মো. নেওয়া আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (২৫)। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান তার চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫৫)। দুজনেরই জ্বর, সর্দি ও কাশি ছাড়াও ছিল শ্বাসকষ্ট।
এই পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনায় ওই সব এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নুরুল হুদা খান মৃত্যুর ঘটনায় জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি। তারা আগে থেকেই নানা অসুখে ভুগছিলেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার মতো কোনো ইকুইপমেন্ট ছিল না। আজ (বুধবার) এসেছে। এ ব্যাপারে আমরা আরও তৎপর থাকব।