সিলেট ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
নিজেদের উদ্ভাবিত এন্টিবডি কিটের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে প্রথম ধাপে ১০ লাখ এন্টিবডি কিটের অনুমোদন চাইবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আজ বুধবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
জানা গেছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এন্টিবডি কিটের কার্যকারিতা যাচাই শেষে আজ বুধবার ফল দেওয়ার কথা রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)। তাদের ফল পাওয়ার পর এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘বিষয়টাতো আমাদের হাতে না। এটা বিএসএমএমইউ আর ঔষধ প্রশাসনের হাতে। নিয়মটা হচ্ছে আজকে বিএসএমএমইউ রিপোর্ট জমা দেবে ঔষধ প্রশাসনের হাতে। দিয়েছে কি না, জানি না। দেওয়ার পরে ওষুধ প্রশাসন একটা সিদ্ধান্ত নেবে। ওষুধ প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তার ভিত্তিতেই আমাদের কাজ।’যদি কিটের অনুমোদন না দেয়, তাহলে শোধরানোর একটা সুযোগ আমরা অবশ্যই পাবো। আর হ্যাঁ (অনুমোদন দিলে) হলে ঔষধ প্রশাসনের যে নীতিমালা আছে, সেটা অনুযায়ী আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। যদি আজকে অনুমোদন হয়, তাহলে আমরা প্রথমে ১০ লাখ কিটের অনুমোদন চাইবো’, যোগ করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল।
দীর্ঘ পরীক্ষা শেষে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এন্টিবডি কিটের কার্যকারিতার ফল প্রকাশ করবে বিএসএমএমইউ। এন্টিবডি কিটের মাধ্যমে জানা যাবে, শরীরে করোনা প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না।ধারণা করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ ছিল। পরীক্ষা না করায় তারা বুঝতে পারেননি যে, তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর একবার আক্রান্ত হলে তার শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হয়, এটা যতদিন থাকে ততদিন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।