দেশে আসতে অনিহা চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০

দেশে আসতে অনিহা চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এই ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল দেশটির উহান শহরে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দিন কাটছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায়।এমন অবস্থায়  চীনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী বর্ণ সিদ্দিকী  ফেসবুকে লাইভে এসে সেখানকার পরিস্থিতি জানিয়েছেন। তিনি  বসবাস করছেন ইউনান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে।লাইভে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ মুর্হূতে দেশের স্বার্থে আমি আমার মাতৃভূমিতে যাব না। চীনে আমরা শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও হাজার হাজার বাংলাদেশি আছেন। আমরা জানি না, এ রোগটা কারও কাছে চলে এসেছে। এ রোগটার একটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এটি শরীরে আসার পর থেকে ১৪ দিন অবস্থান করবে এবং কোনো লক্ষণও প্রকাশ করবে না। এখন আমরা যারা এখানে আছি, তারা যদি দেশে ফিরে যাই তাহলে নিজের অজান্তেই কারও না কারও সাথে এ ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের স্বার্থে এখন চীনে থাকাই ভালো।

 

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা চীনেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তেমন খবর আসছে না। আমি আমার চাইনিজ বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি, যা বহির্বিশ্বের গণমাধ্যমে তেমন খবর প্রকাশ পাচ্ছে না। চীন সরকার চাচ্ছে না যে এ ভাইরাসটার কারণে অন্যরা উদগ্রীব হোক।’তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ ভাইরাসের প্রভাব চীনের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমি ইতোমধ্যে অনেকগুলো বাজার ঘুরেছি, আগে এসব বাজারে শাক-সবজির কোনো ঘাটতি না থাকলেও এখন কোনো কাঁচা তরকারি পাওয়া যাচ্ছে না, যা পেয়েছি তা শুষ্ক খাবার।’গতকাল চীনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ঢাকাকে জানানো হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরতে আরও ১৪ দিন লাগবে।করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার। এ পর্যন্ত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি দেশে।

এলবিএন/৩০-জ/এফ/১০

Spread the love

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আর্কাইভ

March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31