হলিউডের ভাইরাস নিয়ে যত সিনেমা

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০

হলিউডের ভাইরাস নিয়ে যত সিনেমা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

হলিউডের নামকরা নির্মাতা স্টিভেন সোডারবার্গের সিনেমা ‘কন্টেজিয়ন’-এর সঙ্গে চীনে রহস্যময় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা অদ্ভুতভাবে মিলে যায়! ২০১১ সালে নির্মিত সিনেমাটি ইতোমধ্যেই আই টিউনসের টপ টেন মুভি রেন্টাল লিস্টের শীর্ষে চলে এসেছে।সিনেমাটিতে ভাইরাসের আতঙ্কজনক সংক্রমণের ঘটনা ফুটে উঠেছে। যদিও অনেক আগে থেকেই হলিউডের সিনেমায় এ ধরনের ঘটনা দর্শক দেখেছে। যেখানে ভাইরাসকে কেন্দ্র করেই এগিয়েছে সিনেমার গল্প।

আউটব্রেক: ১৯৯৫ সালে জার্মান পরিচালক উলফগ্যাং পিটারসনের ‘আউটব্রেক’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ডাস্টিন হফম্যান, রেনে রুশো, মরগান ফ্রিম্যান, কিউবা গুডিং-এর মতো জাঁদরেল সব অভিনেতা-অভিনেত্রী ছিলেন এই সিনেমায়। আফ্রিকার দেশ জায়ারে অনেকটা ইবোলার মতো প্রাণঘাতি কল্পিত এক ভাইরাস ‘মোতাবা’ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সেই ভাইরাস আমেরিকার ছোট্ট এক শহরে সংক্রমিত হয়।ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড: এক ধরনের ভাইরাসের কারণে জোম্বি অর্থাৎ নরঘাতক হয়ে ওঠার কাহিনি দেখানো হয় ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড’ সিনেমায়। ব্র্যাড পিট সিনেমাটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসেবেও ছিলেন।

আই অ্যাম লিজেন্ড: হলিউড সুপারস্টার উইল স্মিথ অভিনীত ২০০৭ সালের সিনেমা ‘আই অ্যাম লিজেন্ড’। সিনেমায় ভাইরোলজিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেন স্মিথ। সেখানে দেখানো হয় বেশ কয়েক বছর আগে প্লেগে আক্রান্ত নিউ ইয়র্কের বেশিরভাগ মানুষ মারা যায়, বাকীরা পরিণত হয় দানবে। একমাত্র বেঁচে থাকা মানুষ স্মিথ এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে থাকে।

রেসিডেন্ট ইভিল সিরিজ: ২০০৪ সালে ‘রেসিডেন্ট ইভিল: অ্যাপোক্লিপ্স’ মুক্তি পায়। এরপর ২০০৭-এ ‘রেসিডেন্ট ইভিল: এক্সটিংশন’ ও ২০১০-এ ‘রেসিডেন্ট ইভিল: আফটার লাইফ’, ২০১২ সালে ‘রেসিডেন্ট ইভিল: রিট্রিবিউশন’ এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে ‘রেসিডেন্ট ইভিল: দ্য ফাইনাল চ্যাপ্টার’ মুক্তি পায়। মিলা জোভোভিচ অভিনীত এই সিনেমার সিরিজগুলোতে দেখানো হয় একটি বিশেষ চক্রের কারণে জীবাণু অস্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে জোম্বি হয়ে পড়ছে গোটা শহর।

টুয়েন্টি এইট ডেজ লেটার: ২০০২ সালে ড্যানি বয়েল পরিচালিত সিনেমাটি দেখানো হয় অসাবধানতাবশত উন্মুক্ত হওয়া একটি ভাইরাস কীভাবে পুরো সভ্যতাকে ধ্বংস করতে শুরু করে। সিনেমাটি একটি মাইলফলক তৈরি করে। প্রশংসার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সাফল্যও পায়। সে কারণে ২০০৭ সালে এর সিকুয়েল ‘টুয়েন্টি এইট উইকস লেটার’ মুক্তি পায়।

ব্লাইন্ডনেস: ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে দেখানো হয় একটি সমাজে অন্ধত্ব কীভাবে মহামারী রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

ম্যাগি: ভাইরাসজনিত রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কাহিনি দেখানো হয় অ্যাকশন স্টার আর্নল্ড শোয়ের্জনিগার অভিনীত ২০১৫ সালের সিনেমা ‘ম্যাগি’তে। সিনেমায় এই নায়ককে আবেগতাড়িত, খুব ভিন্ন এক চরিত্রে দেখা গেছে।

ডুমস ডে: ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় ভবিষ্যতের স্কটল্যান্ডে এক ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা দেখানো হয়।

ক্যারিয়ারস: ২০০৯ সালের সিনেমা ‘ক্যারিয়ারস’-এ দেখানো হয় চার বন্ধু ভয়াবহ ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে, আসলে তারা নিজেরাই অন্য ভাইরাসের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর।

প্যানডামিক: ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে মহামারীতে মারা যাচ্ছে মানুষ। এ অবস্থায় এক ডাক্তার ও তার দল ঐ মহামারী থেকে যেসব মানুষ বেঁচে গেছে, তাদের খুঁজে বের করে। এমন কাহিনি উঠে এসেছে ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘প্যানডামিক’-এ।

এলবিএন /এস/৩১-জ/৭০-১২

Spread the love

আর্কাইভ

March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31