ফাহিমের ফ্ল্যাটে কেন ঢুকেছিল খুনি?

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০

ফাহিমের ফ্ল্যাটে কেন ঢুকেছিল খুনি?

লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ

গোয়েন্দাদের ধারণা অনুযায়ী পাঠাও-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ’কে হত্যা করা হয় ১৩ জুলাই (সোমবার)। তবে সন্দেহভাজন খুনি মঙ্গলবার আবারও তার ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল মরদেহ টুকরো করতে। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 

১৩ জুলাই (সোমবার) থেকে ভাইকে ফোনে না পেয়ে ফাহিমের এক ছোট বোন মঙ্গলবার তার অ্যাপার্টমেন্টে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ফাহিমের মরদেহ পড়ে আছে এবং শরীরের একটা অংশ পাশের একটি প্লাস্টিক ব্যাগে ভরা। পাশেই পড়ে আছে একটি ইলেকট্রিক করাত। এরপর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার সেই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, ফাহিম সালেহকে স্থানীয় সময় সোমবার কোনও এক সময়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী ওই দিন চলে যাওয়ার পরদিন মঙ্গলবার আবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসে। ইলেকট্রিক করাত দিয়ে মরদেহ টুকরা করে বড় আকারের ব্যাগে ভরে ফেলে সে। হত্যার আলামত মুছে ফেলারও চেষ্টা করে।

 

মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, হত্যাকারী যখন ফাহিম সালেহর শরীর টুকরা টুকরা করে ব্যাগে ভরছিল, তখনই তার বোন ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকছিলেন। লবিতে পৌঁছালে হত্যাকারী বিষয়টি টের পায়, তখন অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের দরজা ও সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায় সে।

 

শুক্রবার (১৭ জুলাই) ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে। একইদিনে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এক সংবাদ সম্মেলনে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান ডিটেকটিভ রোডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, ফাহিমের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তদারকি করতো সন্দেহভাজন হাসপিল।

Spread the love