সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
লন্ডন বাংলা ডেস্কঃঃ
প্রবাসী বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির কার্যকরী পরিষদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় কার্যকরী কমিটি বিলুপ্ত এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সংগঠনের সকল হিসাব বুঝিয়ে না দিলে বিদায়ী সভাপতির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২৯ অগাস্ট শনিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ‘ইটজি রেস্টুরেন্টে’ অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন (সভাপতির অনুপস্থিতিতে) সহ-সভাপতি আক্তারুর রহমান মামুন এবং পরিচালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি রুহুল আমিন নাসির।
করোনায় মৃত্যুবরণকারি সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম সোবহানী (আবু ভাই)সহ সকলের আত্মার মাগফেরাত এবং আক্রান্তদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনার মধ্যদিয়ে এ সভা শুরু হয়। সভার প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন রুহুল আমিন নাসির। তিনি বলেন, দু:খজনক হলেও সত্য যে, সংগঠনের সভাপতি কাজী জামান উদ্দিন গঠনতান্ত্রিক রীতির প্রতি ন্যূনতম তোয়াক্কা না করে স্বৈরাচারি স্টাইলে সংগঠনের সবকিছু কুক্ষিগত করেছেন। কার্যকরী কমিটি দূরের কথা উপদেষ্টাগণকেও পাত্তা দিতে চান না। নাসির আরো উল্লেখ করেন, সভাপতি এবং উপদেষ্টাগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজকের এ সভা ডাকা হয়। অথচ সভাপতি আসেননি। অধিকন্তু তিনি নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছেন কেউ যাতে এ সভায় না আসি। এমন পরিস্থিতি কারো কাম্য ছিল না।
সভায় সংগঠনের সভাপতির রহস্যজনক আচরণ এবং সাংগঠনিক রীতি অনুসরণ না করায় সকল বক্তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডিসেম্বরে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। দু’বছরের মেয়াদে এই কমিটি গঠনের পর কখনোই সভাপতি সাংগঠনিক বিধি অনুসরণ করেননি বলে সকলে অভিযোগ করেন। তাই মেয়াদ ফুরিয়ে যাবার আগেই রীতি অনুযায়ী নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে ‘সভাপতি কাজী জামান উদ্দিনকে অপসারণ সহ কার্যকরী কমিটি বিলুপ্তির’ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শাহ আলমকে আহবায়ক মনোনীত করা হয়। সভায় উপস্থিত সকলকে সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয়। একইসাথে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংগঠনের সকল নথিপত্র, হিসাব বুঝিয়ে না দিলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তালুকদার, আলহাজ্ব রেজাউল করিম, জামান আহমেদ, শাহ জামান, শেখ ইলিয়াস হাবিব, মোহাম্মদ শাহ আলম, নূরে আলম খান, রফিকুল ইসলাম জিয়া, মঈনুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু এবং শামীমা আলম মুন্নী। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আর বি এম সালামত জং সভায় উপস্থিত ছিলেন তবে স্বাক্ষর করেননি। কার্যকরী কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন এবং সভায় ছিলেন এস ইসলাম মামুন, মো. মাসুদ হোসেন, জাকির হোসেন লিটন, মামুন আর রশিদ, মঞ্জুর মোর্শেদ, রুবেল গাজী, আব্দুল জলিল মিয়া, বেলায়েত হোসেন, ফজলুল হক খান চুন্নু, রুহুল আমিন, পারুল আকতার আলী বকুল প্রমুখ।
সভায় জানানো হয় যে, ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি এবং ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ (একজন মারা গেছেন) অর্থাৎ ৩৫ জনের মধ্যে সভায় ছিলেন ২৪ জন।