সিলেট ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ
৩৮বছর বয়সী শাহনাজ বেগম। তিন সন্তান নিয়ে থাকেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রেলওয়ে কলোনী পরীনগরে। অভাব অনটনের সংসারে ছেলেকে অল্প বয়সে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি রেস্তোঁরায় চাকরী করতে। মাস শেষে ছেলে যা মাইনে পায় তা দিয়ে চলতো না সংসার। নিজে কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে করতেন ঝিয়ের কাজ। অফিসে কর্মরত স্টাফরা যে যার মতো সহযোগীতা করতেন ।
হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় কাতরাতে থাকেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানতে পারেন তিনি জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে গ্রহণ করেছেন একটি কেমোথ্যারাপী। সেই খরচ সামলাতে ঋণ করতে হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহনাজের স্বামীর সাথে প্রায় ১১ বছর আগে থেকে সাংসারিক টানাপোড়েন ছিলো। স্বামী খোঁজখবর নিতেন না। গত প্রায় ২ বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ডিভোর্সের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। এরপর থেকেই দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন শাহনাজ বেগম। নিজের অসহায়ত্ব ও অভাবের সংসার নিয়ে যখন হতাশার ধোঁয়াশা নিয়ে চলছিলো দিনাতিপাত ঠিক এমন সময় এরকম রোগে আক্রান্ত অনেকটা ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ’।
গত বছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় কুলাউড়ার বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তিনি। উনাদের পরামর্শে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপাতালে যান ২৬ ডিসেম্বর। সেখানে কোন উন্নতি না হওয়ায় ডাক্তার ইশরাত জাহানের পরামর্শে ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক মেডিকেলের গাইনী বিশেষজ্ঞ সারিয়া তাসনিমের কাছে যান।
তিনি পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জরায়ু ক্যান্সার সম্ভাবনা দেখে রেফার্ড করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। ৫ জানুয়ারী ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যান। সেখানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ও ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জরায়ু ক্যান্সারের বিষয়টি নিশ্চিত হোন। পরে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, সার্জারীর দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ইতোমধ্যে একবার কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। তবে এরকম কেমোথেরাপি ছয় থেকে আরও বেশীবার দেয়া লাগতে পারে জানিয়েছেন চিকিৎসক। একটা কেমোথেরাপি দিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।