সিলেট ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
প্রতিনিধি/ ফেঞ্চুগঞ্জ::
সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জের উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নেরে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমকে আটক ও পরবর্তীতে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানা। মঙ্গলবার রাতে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ।
আটকের পর ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, দুপড়িয়া বিল নিয়ে উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুমকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, কেউ পুলিশের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে চাইলে তাকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের দায়িত্ব।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে আব্দুল কাইয়ুমের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ। বুধবার সকাল থেকেও উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আব্দুল কাইয়ুমের মুক্তির দাবিতে ফেরিঘাট-ইলাশপুর এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে আব্দুল কাইয়ুমকে মুক্তি দেয় পুলিশ।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের লিখিত ‘জিম্মানামা’র ভিত্তিতে আব্দুল কাইয়ুমকে ছাড়া হয়েছে। তবে ওই স্বাক্ষরকৃত ওই জিম্মনামাটি সাংবাদিকদের দেখাতে অসম্মতি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘অফিসিয়াল বাধ্যবাধকতা আছে তাই দেখাতে পারছি না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী বলেন, আমি বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতা ‘জিম্মানামায়’ স্বাক্ষর করিনি। একই বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক নানা মুহিব উদ্দিন বাদল।
মুহিব উদ্দিন বাদল এ বিষয়ে বলেন, আমরা বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শওকত আলী, সহসভাপতি রাজু আহমেদ রাজা, দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান জাহাঙ্গীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফারহান সাদিক, উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সেকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ ও যুগ্মসম্পাদক শেখ টিটু প্রমুখ। এই অবস্থায় সচেতন মহলের প্রশ্ন, ফেঞ্চুগঞ্জে আসলে কে সঠিক? ওসি না আওয়ামী লীগ?